পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জহিরুল ইসলাম মিরন নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক বরিশালে রেফার্ড করেন।

জহিরুল কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশন টেলিভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

তার মা বলেন, চিৎকার শুনে আমরা বাসা থেকে বের হয়ে দেখি জহিরুল উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেকে যারা নৃশংসভাবে আঘাত করেছে তাদের বিচার চাই।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

রবিউল ইসলাম বলেন, জহিরুল ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে। দুই হাত, মাথায় এবং দাঁড়ির নিচে জখম করেছে। এ ছাড়া বুকেও ছুড়িকাঘাত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
 
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক জহিরুল আজ ঢাকা থেকে ফেরেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাড়ি থেকে বাসার সামনে নামলে তাকে এলোপাথাড়ি কোপায় দুর্বৃত্তরা। রাত গভীর থাকায় স্থানীয় কিংবা বাসার মানুষ টের পায়নি।

ওসি বলেন, ইতোমধ্যে ফিলিং স্টেশন এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের তদন্ত চলমান। আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে না পারলেও আশা করি দ্রুত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।


 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে বিয়ে, স্বামীর বয়স নিয়ে আলোচনা, মুখ খুললেন ফারিয়া

কয়েক মাস আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তার বরের নাম তানজিম তৈয়ব। রাজধানীর একটি মসজিদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। মসজিদে বিয়ে করায় নেটিজেনদের একাংশ্যের কটূ কথাও শুনতে হয়েছে তাকে। কেবল তাই নয়, বরের বয়স নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ‘দেবী’খ্যাত এই অভিনেত্রী। 

এতদিন ব্যাপারটি নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি শবনম ফারিয়া। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।   

আরো পড়ুন:

‘নয়ছয়’-এর নির্মাতা রাফায়েলকে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী মম

বিয়েতে কনে উপহার পেলেন ১০০ খাটাশ

মসজিদে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করে শবনম ফারিয়া বলেন, “বাংলাদেশে কোনো ছেলে বা মেয়ে যখন বিয়ে করেন তখন কি ছেলে বা মেয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেন? আমার যেহেতু বাবা নেই, তাই জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্ত মা ও বড় দুই বোন-বোন জামাইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয়।” 

মসজিদে বিয়ের ব্যাপারটা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন ফারিয়া। বিবাহোত্তর সংবর্ধনা দিয়েই বিয়ের খবর জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ব্যাপারটা মসজিদ থেকেই কোনো এক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল। এরপর মসজিদে তোলা একটি ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। না জানিয়ে বিয়েটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি; পরে স্বামীর পরামর্শে ফেসবুকে বিয়ের খবর দেন বলেও জানান শবনম ফারিয়া। 

শবনম ফারিয়ার স্বামীর বয়স নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। অনেকে দাবি করেন, তার বর তার চেয়ে বয়সে ছোট। এ বিষয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, “আমার হাজব্যান্ড অনেক ফিট। সে কারণে তাকে তরুণ দেখায়। কিন্তু ওর অনেক বয়স। সেটা একদমই বোঝা যায় না। আমার থেকে বয়সে বেশ বড়।” 

এ পরিস্থিতিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরে কাছ থেকে খুব সহযোগিতা পেয়েছিলেন ফারিয়া। শ্বশুর-শাশুড়ি অভিনেত্রীকে বলেছেন, “এসবে পাত্তা না দিতে, তিন–চার দিন পর এমনিতেই মানুষ ভুলে যাবে।” 

২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া। 

গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ