অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৫
Published: 15th, December 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডি সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের একটি উৎসবে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে একটি ১০ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় সমুদ্রতটে ইহুদি সম্প্রদায়ের হানুকা উৎসব উদযাপনের সময় দুই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আরো অন্তত ৪০ জন আহত হন। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে এই ভয়াবহ হামলা এটি। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
সিডনির সমুদ্র সৈকতে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত ১২, আহত ২৯
অস্ট্রেলিয়ায় মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ১
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী ৫০ বছর বয়সি বাবা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার ২৪ বছর বয়সি ছেলে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
সিডনির জনাকীর্ণ বন্ডি সৈকতে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ‘অশুভ ইহুদিবিদ্বেষী তৎপরতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রায়ান পার্ক জানান, রাতের মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৫ হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরো তিন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রথম দিনের হনুকা উপলক্ষে রবিবার শত শত মানুষ বন্ডাই বিচে জড়ো হয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় হামলাকারীরা গুলি চালায়।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জনসাধারণের জন্য একটি পাবলিক ইনফরমেশন অ্যান্ড ইনকোয়ারি সেন্টার স্থাপন করেছে। এটি আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য তথ্য প্রদান করবে। এছাড়া নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিডনির হামলাকে ‘ভয়ানক’ আখ্যায়িত করেছেন এবং এটি ‘এক নিখুঁতভাবে ইহুদি বিদ্বেষমূলক হামলা’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
হামলার পর নিউইয়র্ক, বার্লিন ও লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে হানুকাহ অনুষ্ঠান ও ইহুদি উপাসনালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বিদেশে থাকা নাগরিকদের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বেরোবিতে বিআরইউডিএফের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট ফোরাম (বিআরইউডিএফ) ‘বাঁচাও তিস্তা’ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজনের উদ্বোধন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম দুলালসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
আরো পড়ুন:
রোকেয়ার নারী ও সমাজ-ভাবনা
ব্রাকসু নির্বাচনের কারণে শীতকালীন ছুটি পেছাল
দেশসেরা ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রাউন্ডে বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক নুসরাত জাহান বলেন, “আয়োজন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি, উত্তরাঞ্চলের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে এই আয়োজন আরো করবে। যাতে তারা সারা বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, আমরাও যেন বার বার আসতে পারি।”
অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “একটি বিতর্ক সংগঠন আন্দোলনের ভাষায় জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে কীভাবে বিতর্কের সম্পদে পরিণত করতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট ফোরাম।”
সংগঠনের সভাপতি রিশাদ নুর বলেন, “তিস্তা নদীকে নিয়ে বাংলাদেশে কোনো বড় পরিসরে বিতর্ক হয়নি। আমাদের বিআরইউডিএফ এটা আয়োজন করেছি। আমরা চেয়েছি বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে তিস্তার পাড়ে এনে তিস্তার প্রকৃত বিষয়টা জানাতে। আমরা চাই যে ৩২টা বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে, তারা ফিরে গিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিস্তা নিয়ে কথা বলুক। সকলের সহযোগিতায় প্রোগ্রামটি সফল হতে যাচ্ছে।”
এ আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল জনপ্রিয় পত্রিকা সমকাল, দৈনিক আমার দেশ এবং দেশসেরা মাল্টিমিডিয়া চ্যানেল যমুনা টিভি।
ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল