গাজীপুরে ১৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই, সাত দিন পর খুলেছে বন্ধ কারখানা
Published: 15th, December 2025 GMT
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার পিএন কম্পোজিটের কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকেরা।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শ্রমিকেরা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, ১৩৯ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির নোটিশে বলা হয়েছে, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ‘গত ০৭ ডিসেম্বর এবং ০৮ ডিসেম্বর কারখানার শ্রমিকগণ কিছু অযৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে, চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর হতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬–এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।’
পরে কারখানা খোলার বিষয়ে অধিকাংশ শ্রমিকের অনুরোধে ও কারখানা সুষ্ঠু উৎপাদন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে এবং ১৩ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানা কর্তৃপক্ষ পূর্বঘোষিত ১৩৯ জন সাময়িক বরখাস্ত করা শ্রমিক ছাড়া অচল আজ থেকে কারখানা কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
আরও পড়ুনগাজীপুরে কারখানা বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের বিক্ষোভ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫প্রতিষ্ঠানটির এজিএম আখলাকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘সকাল থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বেতন–ভাতা সময়মতো পরিশোধ করা হচ্ছে। তাঁদের কোনো দাবিদাওয়া নেই। তাঁদের দাবি একটাই, শ্রমিকদের কাছে কর্তৃপক্ষকে মাফ চাইতে হবে। ১৩৯ জন শ্রমিককে আর কাজে নেওয়া হয়নি। বরখাস্ত করা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানার সামনে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দীন মাহমুদ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে আজ থেকে প্রবেশ সীমিত
নিরাপত্তার কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের এজলাসকক্ষে আজ সোমবার থেকে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অপ্রত্যাশিত কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, উভয় বিভাগের বিচারপতি, মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ করছেন। এতে আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকাজ পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ আদেশ ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীদের সচেতন থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।