সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত ছবি ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দারুণ দাপট দেখাচ্ছে ছবিটি। এ ছবির মাধ্যমে রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্নার পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে আরেক নাম—অভিনেত্রী সারা অর্জুন। যদিও তিনি মোটেও নবাগত নন। শৈশবেই অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর পথচলা শুরু। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড হাঙ্গামার কাছে নিজের অভিনয়যাত্রা, শৈশব আর ধুরন্ধর ঘিরে নানা অনুভূতির কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

‘ধুরন্ধর’-এর সাফল্য নিয়ে সারা বলেন, ‘এটি আমার কাছে শুধু একটি প্রকল্প নয়। আমার মনে হয়েছে, কেউ যেন আমাকে মৃদু স্বরে বলেছিল, “তাড়াহুড়ো করবেন না, আপনার জন্য এখানে একটি গল্প অপেক্ষা করছে।” আমার সব সময়ই একটা সহজাত বিশ্বাস ছিল যে সফল হব। যদিও মনে করি না, এখনো সেই চূড়ায় পৌঁছেছি।’ সারার ভাষ্যে, ‘“ধুরন্ধর” অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। এখন আর কোনো প্রশ্ন নেই, আছে শুধু আরও নতুন কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।’

‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় সারা অর্জুন। এক্স থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সবুজের বাড়িতে শোকের মাতম

সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী সদস্য নিহত হন। তাদেরই একজন গাইবান্ধার সবুজ মিয়া (২৮)। 

নিহত সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলাম ও ছকিনা বেগমের ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে পলাশবাড়ীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

মহদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, ২০০০ সালে সবুজ মিয়া মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন।

তিনি আরো বলেন, এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ ছিলেন ছোট। তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। তিনি ১৭ মাস আগে নাটোর জেলায় বিবাহ করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী ও মা বর্তমানে বাড়িতে আছেন। তিন মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। এরপর গত মাসের ৭ নভেম্বর পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি। এক মাস ৭ দিন পর তার মৃত্যুর খবর আসে।

নিহত সবুজের মা ছকিনা বেগম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, আমার ছেলের বয়স যখন দুই বছর, তখন আমি আমার স্বামীকে হারাই। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে দুই সন্তানকে বড় করি। সেকারণে ছোট বেলাতেই সেনাবাহিনীতে চাকরিতে প্রবেশ করে সে। সন্তানকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন আমার ও তার স্ত্রীর দায়িত্ব কে নেবে?

নিহতের স্ত্রী নুপূর আক্তার বলেন, মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে হয় আমাদের। সংসারের মায়া-মমতা শুরুর আগেই আমি আমার স্বামীকে হারালাম। আমি সরকারের প্রতি আবেদন জানাই, যাতে দ্রুত আমার স্বামীর লাশ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে। 

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ জানান, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। সরকার এবং সেনাবাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। আশা করি, দ্রুতই লাশ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।  

সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়। এতে দায়িত্ব পালনরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন এবং আরো আটজন আহত হয়।

ঢাকা/মাসুম/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ