দেশের আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। গতকাল তার ফেসবুকে লুক পরিবর্তনের একাল-সেকালের একাধিক ছবিও পোস্ট করেছেন। যা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। সংগ্রাম করে জিতে যাওয়া বাঁধনকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার।  

বাঁধনের ছবিগুলো দীপা খন্দকার তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এসব ছবির ক্যাপশনে দীপা খন্দকার লেখেন, “আজমেরী হক বাঁধন, ছবিগুলোতে তোমাকে এত বেশি সুন্দর লাগছে যে, নারী হিসেবে আমার হিংসা হওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। বরং কেন জানি খুব ভালো লাগছে।”

আরো পড়ুন:

‘ভয়-লজ্জার কারণে বিবাহবিচ্ছেদের খবর গোপন রাখা হয়েছিল’

ডাক্তার বাড়ির মেয়ে মৌ!

সংগ্রামী বাঁধনের তারিফ করে দীপা খন্দকার লেখেন, “মনে হলো মানুষ আসলে চাইলেই পারে বারবার উঠে দাঁড়াতে আর সেটা সবচেয়ে বেশি তুমি। কাউকে হেরে যেতে দেখার চেয়ে জিতে যাওয়া দেখলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তে থাকে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন বাঁধনের প্রশংসা করলেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন দীপা খন্দকার। এ অভিনেত্রীর ভাষায়—“কথাগুলো বাঁধনকে ফোনে বলতে চেয়েছিলাম, পরে মনে হলো পাবলিকলিই বলি। কারো ভালো তো সাধারণত আমরা বলতে চাই না। তাই ভালোর চর্চাটাই শুরু করি।” 

দীপা খন্দকারের লেখা ভাবনাগুলোও নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার সহকর্মীরাও প্রশংসাসূচক মন্তব্যে কমেন্ট বক্স ভরিয়ে রেখেছেন। অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী লেখেন, “খুব সুন্দর করে লেখেছো…মুগ্ধ হলাম।” আইরিন পারভীন লেখেন, “কারো সম্পর্কে এত সুন্দর করে বলতে পারাটাও সুন্দর মানসিকতার প্রকাশ।” এমন অনেক মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে। 

বাঁধনের ওজন বেড়ে ৭৮ কেজিতে দাঁড়িয়েছিল। ৬ মাস পরিশ্রম করে তা নামিয়ে এনছেন ৬০ কেজিতে। চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন, আত্মবিশ্বাসের জোরে মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে আজ থেকে প্রবেশ সীমিত

নিরাপত্তার কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের এজলাসকক্ষে আজ সোমবার থেকে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অপ্রত্যাশিত কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, উভয় বিভাগের বিচারপতি, মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ করছেন। এতে আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকাজ পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ আদেশ ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীদের সচেতন থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ