কাপ্তাই লেকের পানির স্তর কমেছে। ফলে এই লেকের পানির ওপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে চারটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একটি ইউনিট দিয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

হবিগঞ্জে ৮টির মধ্যে ৪ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং

প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, শুষ্ক মৌসুমে দিন দিন কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাচ্ছে। এ কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। রুলকার্ভ অনুযায়ী, বর্তমানে হ্রদে পানি থাকার কথা ১০৪.

৮০ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। তবে, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদে পানি আছে ৯৮.৮৫ মিনস সি লেভেল। পানি কমে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো কমে যেতে পারে বলেও তিনি জানান।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে আজ থেকে প্রবেশ সীমিত

নিরাপত্তার কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের এজলাসকক্ষে আজ সোমবার থেকে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অপ্রত্যাশিত কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, উভয় বিভাগের বিচারপতি, মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ করছেন। এতে আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকাজ পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ আদেশ ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীদের সচেতন থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ