শান্তি মিশনে আহত মানিকগঞ্জের চুমকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
Published: 15th, December 2025 GMT
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য চুমকি আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী মো. ইকরামুল হোসেন। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি এ তথ্য জানান।
সেনা সদস্য চুমকি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
মোবাইলে ভিডিও দেখানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, বাড়ল সময়
চুমকি আক্তারের স্বামী ইকরামুল হোসেন বলেন, “এ বছরের নভেম্বরের ৭ তারিখ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান চুমকি। গত শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্রিন্ট তার ডান হাত এবং ডান পায়ে লেগেছে। তাকে হেলিকপ্টারে ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, “আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোটো। ছেলেকে সে আমার কাছে রেখে গেছে।”
কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, “তার ডান হাত ও পায়ে আঘাত লাগছে। ওই দেশে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার স্বামী কৃষি কাজ করেন।”
রবিবার বাংলাদেশ আর্মির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কতৃক ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়। উক্ত হামলায় দায়িত্বরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয়
কর্পোরাল মো.
আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয়
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিঃ (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ); সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।
বাংলাদেশ আর্মির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, আহত আটজন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মোঃ মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতোমধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্য সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
পোস্টে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত শ ন ত রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত, আটজন গুরুতর আহত
যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের অভিজাত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে খুঁজছে পুলিশ। প্রভিডেন্স শহরে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় আইভি লিগভুক্ত। সেখানে হামলাকারীর গুলিতে দুজন শিক্ষার্থী নিহত ও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশ এখনো হামলাকারীকে খুঁজছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বারাস অ্যান্ড হোলি’ ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনে ওই হামলা চালানো হয়। তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশ কালো পোশাক পরা এক পুরুষকে খুঁজছে। সন্দেহভাজনের আরও স্পষ্ট বর্ণনা পেতে আশপাশের এলাকার ভিডিও ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্মাইলি বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের বিষয়ে কর্মকর্তারা এখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারছেন না। তিনি এ ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘বড়দিনের মাত্র দেড় সপ্তাহ বাকি। আর আজ দুজন নিহত হয়েছেন এবং আটজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করুন।’
আইভি লিগের অন্তর্ভুক্ত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের কলেজ হিল এলাকায় অবস্থিত। আইভি লিগ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপ বা কালেকশন। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন রয়েছে শতাধিক। এর মধ্যে আছে পাঠদান হল, গবেষণাগার ও ডরমিটরিও।
গুলিবর্ষণের খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩০৭ ডিসেম্বর ২০২৩চিয়াং-হেং চিয়েন নামের একজন শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, তিনি আরও তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে একটি গবেষণাগারে কাজ করছিলেন। সে সময় মোবাইলে এক ব্লক দূরেই গুলি চলার বার্তা পান। পরে তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিলেন।
এ ঘটনা নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে ‘মর্মান্তিক’ এ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা শুধু নিহত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, আহত আটজনকে রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছয়জনের অবস্থা ‘গুরুতর, কিন্তু স্থিতিশীল’। সপ্তম ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর ও অষ্টম ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২৩০ জুন ২০২৫