বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফেরদৌস জামানকে রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক পদে বদলি করা হয়।

ইউজিসির সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, কমিশনের সাবেক সচিব (বর্তমানে আরএসপি বিভাগের পরিচালক) ড.

ফেরদৌস জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে সত্যতা নিরূপণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মো. আবদুল মজিদকে আহ্বায়ক করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং কমিশনের উপসচিব (লিগ্যাল) নুরনাহার বেগম শিউলীর সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একট ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো- ড. ফেরদৌস জামান ইউজিসিতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এমনটি একাধিকবার উত্থাপিত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাঁকে বারবার পদোন্নতি, চাকরি স্থায়ী ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

পর্যবেক্ষণের আলোকে কমিশনের সভায় ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ড. ফেরদৌস জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে আইনি বিষয়গুলো পৃঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য বলা হয়। এ বিষয়ে কমিশনের লিগ্যাল সেলের মতামত বা পরামর্শ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করলে ড. ফেরদৌস জামান সমকালকে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউজ স বরখ স ত সরক র ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ দেশে জলবায়ু বিপর্যয়ে নিউইয়র্কে ঠাঁই, সেখানেও বিতাড়নের ভয়

গ্রিসেলদাকে জীবনে বড় সিদ্ধান্তটি নিতে হয়েছিল ২০১৮ সালে। তাঁর বাড়ি ছিল গুয়াতেমালার কুয়েতজালতেনাঙ্গো শহরের কাছে এক পাহাড়ি এলাকায়। বছরের পর বছর ধরে মাটির ঘরে বৃষ্টির পানি ঢোকা ঠেকাতে পারেননি তিনি। গ্রিসেলদার দুর্দশা আরও বাড়িয়েছিল খরা। ফলে ২০১৮ সালে জন্মভূমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

হোসেনের বসবাস ছিল দুই মহাদেশ পেরিয়ে। তিনি বদলে যেতে থাকা জলবায়ুর চাপটা টের পেয়েছিলেন ২০২২ সালের গ্রীষ্মের শেষ দিকে। তখন তিনি স্ত্রী ও সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়েকে বাড়ি ফেরানোর জন্য হাসপাতালের বিলটুকুও মেটাতে পারছিলেন না। বাংলাদেশের ফেনী জেলায় এক দশক ধরে বারবার বন্যায় তাঁর ফসল নষ্ট হয়েছিল। ফলে ফুরিয়ে গিয়েছিল সব সঞ্চয়।

মোহামেদের বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে আরও সম্প্রতি, ২০২৩ সালে সেনেগালের দিউরবেল এলাকায় নতুন করে আরেক দফা খরা ও তীব্র বৃষ্টিপাতের পর। এই দুর্যোগের জেরে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল।

দুর্যোগগুলোর কিছু এসেছিল হঠাৎ করেই, কিছু ধীরে ধীরে। আর শেষ পর্যন্ত জলবায়ু সংকট এই মানুষগুলোর পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছিল। দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে তখন যা সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছিল, সেটাই করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। আর তা হলো, মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা। তারপর নিউইয়র্ক শহরে নতুন একটি জীবন খুঁজে নেওয়া।

প্রতীকী ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজ দেশে জলবায়ু বিপর্যয়ে নিউইয়র্কে ঠাঁই, সেখানেও বিতাড়নের ভয়