টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষার্থীদের বহন করা পিকনিকের ৩টি বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ থানার পালানো শাহপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯) এবং নেত্রকোনা জেলার রাজগাগড়া গ্রামের শীতল চন্দ্র ভাটের ছেলে রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। 

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা টাঙ্গাইলের বিভিন্নস্থানে ডাকাতি করে থাকে। গ্রেপ্তারদের ভিকটিমের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তারা পুলিশের কাছেও ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠালে আদালত চারজরকে জেলহাজতে পাঠান। 

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসন এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুইজনকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 
ঘাটাইল থানার পদির্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজল খান জানান, রিমান্ডে দুইজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাদের তথ্যর ভিত্তিতে গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতদল একটি বাড়িতে ডাকাতি করছে। এসময় তারা তেঁতুলিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ দ্রুত পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। 

তিনি আরও বলেন, তাদের শোন এরেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর পৌনে ৪টার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলাার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষা সফরের জন্য চারটি বাস নিয়ে নাটোরের গ্রিনভ্যালি পার্কের উদ্দেশ্য রওনা দেন। চারটার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের লক্ষণের বাধা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে বাস থামায় একদল ডাকাত। পরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৩টি বাসে থাকা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে বাসের যাত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতরা নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণ, ১০টি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন ও অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ড ক ত র ঘটন এ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • ফতুল্লার  শিবু মার্কেট এলাকায় মাও. জব্বারের গণসংযোগ,: ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত প্রার্থী
  • সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করলো বিএনপি
  • ‘এইচ টি ইমামের’ বন্ধ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬
  • প্রয়াত বিএনপি নেতা মাহমুদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দোয়া
  • গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ‘শুটার’ মান্নান নিহত