সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদে হামলা-ভাঙচুর, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
Published: 4th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় মুসল্লীরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল করে মুসল্লীরা।এসময় মুসুল্লীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন, মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমির হোসেন বাদশা, মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, জাফর ইকবাল বকুল, আব্দুল রহিম সাজু, মোরশেদ আলম, জয়নাল আবেদীন জুয়েলসহ আরো অনেকে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আল্লাহর ঘর মসজিদে হামলা-ভাঙচুরের মত নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন বলেন, হামলাকারীদের যতক্ষন পর্যন্ত প্রশাসন গ্রেফতার না করবে, আমরা রাস্তা ছড়বো না।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মোক্তার হোসেন আরো বলেন, বিগত আমলেও হামলা হয়েছে। আপনারা কোন ব্যবস্থা নেন নাই, আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেন নাই। ঐসব সন্ত্রাসীরাই গতকাল রাতে মসজিদে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে মুসুল্লীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস অবর ধ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ