স্পিনার নাকি পেসার, ফাইনালে কারা ফেলবে প্রভাব?
Published: 9th, March 2025 GMT
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ (৯ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল, যেখানে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা থেকে শুরু হতে যাওয়া এ ম্যাচের পিচ কেমন হবে?
ভারত আইসিসি থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে তাদের প্রতিটা ম্যাচই খেলছে একই স্টেডিয়ামে। এমনকি কন্ডিশনের ব্যাপারে জেনেই স্কোয়াডে ৫ জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রেখেছে তারা। শেষ দুই ম্যাচে তারা একাদশে ৪ জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যাচ্ছে ফাইনালের উইকেটও স্পিন বান্ধব হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আজকের তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সারা দিনটি উষ্ণ থাকবে এবং সূর্যের আলো কিছু সময় থাকবে। মেঘাছন্ন থাকতে পারে পরিবেশ। আজ দুবাইয়ে মেঘের আচ্ছাদন থাকবে ৬৪ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
ফাইনালে কি বৃষ্টি বাগড়া দেবে?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্স
তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আছে সুখবর। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মাত্র ১ শতাংশ সম্ভাবনা আছে বৃষ্টির। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতি থাকবে ঘন্টায় প্রায় ১৯ কিলোমিটার। তবে সেটি ঝড়ো বাতাসে রূপ নিলে গতি ঘন্টায় ৪৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত সুষম। এটি ব্যাটসম্যন ও বোলার দুই পক্ষকেই কিছু সহায়তা দেয়। তবে ম্যাচের পরবর্তী পর্যায়ে স্পিনারদের জন্যও সহায়ক হতে পারে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই এবং আর্দ্রতার পরিমাণও কম হওয়ায়, ম্যাচের বয়স যত গড়াবে উইকেট ততই শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে শেষের দিকে ব্যাটিং আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ভারতের সমান চার জন বিশেষজ্ঞ স্পিনাত খেলাচ্ছে নিউ জিল্যান্ডও। স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ছাড়া বাকিরা অবশ্য খন্ডকালীন হাত ঘুড়ায়। তবে পার্টটাইমার হলেও রাচিন আর গ্লেন ফিলিপস প্রয়োজনে দশ ওভারের কোটা পূরন করতে পারেন।
এই আসরে ভারতের পর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পিন ডিপার্টমেন্টটা নিউ জিল্যান্ডেরই। তাই দুবাইয়ের ‘স্লো এবং লো’ উইকেটে কেউ যদি টিম ইন্ডিয়াকে হারাতে পারে তবে সেটা নিউ জিল্যান্ড।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।