অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতার সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের মিল পাওয়া যায়নি। যেমন অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, স্থানীয় শিল্পে ব্যবহৃত চুনাপাথর আমদানিতে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নথিতে শুধু গ্লাস ও সিরামিক খাতের জন্য এই নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তাহলে এখানে বৈষম্য কেন করা হয়েছে? কাঁচামাল হিসেবে স্থানীয় অন্যান্য শিল্পেও একই নিয়ম থাকতে পারত।

বাজেট প্রস্তাবে টার্নওভার ট্যাক্স বা লেনদেন কর বিদ্যমান শূন্য দশমিক ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এটি ব্যবসা বৃদ্ধিকে অনুৎসাহিত করবে। এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলোর কাঁচামালের দাম অনেক বেশি। এ কারণে বেশি পরিমাণে ব্যাংকঋণ প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক লেনদেন বা টার্নওভার বেশি হয়। কিন্তু বেশি টার্নওভার মানেই বেশি লাভ নয়; বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেশি ঋণের বোঝা। বরং এটাকে শূন্য করা গেলে উৎপাদনশীলতা গতি পাবে।

ব্যাংকের ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত থাকতে পারে, কেননা কয়েক বছর ধরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক লোকসান বা সীমিত মুনাফা করলেও ব্যাংক খাত ব্যাপক হারে মুনাফা করেছে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর বাড়ানো হয়েছে। প্রশ্ন হলো, যারা তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাদের কেন করপোরেট কর বেশি দিতে হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে গ্রস প্রফিট থেকে করপোরেট কর দিতে হবে, একই কোম্পানি যখন শেয়ারধারীদের নিট প্রফিট থেকে লভ্যাংশ দেয় তখনো তাদের আবার উচ্চ হারে কর দিতে হবে। এভাবে একজন করপোরেট শেয়ারধারী বা উদ্যোক্তাকে মোট ৫৭ শতাংশের মতো কর দিতে হয়। বাকি ৪৩ শতাংশ নিজের লিভিং লাইফ বাবদ খরচ করার পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত থাকে না। ফলে নতুন শিল্প করার জন্য অথবা শিল্প বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় জোগান অসম্ভব হয়ে যায়। 

এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে, উৎপাদনশীল শিল্প থেকে করপোরেট কর আরও কমানো উচিত। ব্যাংকের ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত থাকতে পারে, কেননা কয়েক বছর ধরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক লোকসান বা সীমিত মুনাফা করলেও ব্যাংক খাত ব্যাপক হারে মুনাফা করেছে। এটা ঋণের উচ্চ সুদের হারের কারণে সম্ভব হয়েছে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হয়েছে। এটি পূরণে ৯৬ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক সাহায্য এবং ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ ঋণ ধরা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণ ব্যাংক খাত থেকে ভর্তুকি হিসেবে নেওয়া হলে ব্যাংক খাত অভ্যন্তরীণ শিল্পায়নে চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান দিতে পারবে না। শিল্পায়ন ব্যাহত হতে পারে।

ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর অনলাইনে দেওয়ার যে নিয়ম করা হয়েছে। তবে আরও সময় নিয়ে নতুন ও পুরোনো করদাতাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চালু করলে ভালো হতো। ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট অ্যামাউন্টের পুরোটা একসঙ্গে জমা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। এতে বৃহৎ করদাতাদের একসঙ্গে কর দেওয়া কঠিন হবে। ফলে এ ক্ষেত্রে মামলার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়বে। কারণ, বেশি পরিমাণ কর একসঙ্গে জমা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে সময় বাড়িয়ে কোনো জরিমানা ছাড়া কমপক্ষে চারটি কিস্তির সুযোগ রাখা যেতে পারে। 

আগে কোনো ব্যবসায়ী শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানির সময় উৎসে অগ্রিম আয়কর হিসেবে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়। এটি পরে সমন্বয় হতে পারে। তবে এটিকে চূড়ান্ত দায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ মুনাফা না করেও আয়কর প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারধারীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এই ব্যবস্থাকে আমরা কোনভাবেই ব্যবসাবান্ধব বলতে পারি না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করপ র ট কর প রস ত ব র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মা হতে ভয় পান দর্শনা?

প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় ফিসফাস চললেও তা স্বীকার করেননি তারকা জুটি দর্শনা বণিক ও সৌরভ দাস। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই দম্পতি। তাদের বিয়ের বয়স ১ বছর ৯ মাস। তবে এখনো এ জুটির সংসার আলো করে কোনো সন্তান আসেনি। একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন দর্শনা। 

সঞ্চালক জানতে চান, মা হতে চান কি না? জবাবে দর্শনা বণিক বলেন, “একদম। বিয়ে করেছি, আমি আর সৌরভ বাচ্চা খুব ভালোবাসি। আমাদের এটা তো অবশ্যই পরিকল্পনা আছে, নিজেদের একটা পরিবারের।”

বাচ্চা হলে টলিউডে কাজ হারাতে পারেন, এমন ভয় পান? জবাবে দর্শনা বণিক বলেন, “এমনি তো মেয়েদের খুব সহজেই সরিয়ে দেয়। আচ্ছা এই অভিনেত্রী বিয়ে করছে, সরিয়ে দাও। আচ্ছা বাচ্চা হচ্ছে, সরিয়ে দাও। আমাদের এখানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কিন্তু অনেক আগেই এটা ভেঙে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে শুভশ্রী গাঙ্গুলি, তার দুটো বাচ্চা আছে। যেভাবে সব কিছু ম্যানেজ করছে। বম্বে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন করছে, এখানে শো করছে, ওখানে মুভি করছে, প্রোডাকশন সমালাচ্ছে। আমার মনে হয়, ডাক্তার অনুমতি দিলে আর মেয়েরা নিজেরা চাইলে, মেয়েরা সব পারে।”

আরো পড়ুন:

শাকিবের নায়িকা ইধিকার ‘বহুরূপ’

বাবা-মা হলেন পরমব্রত-পিয়া

২০২২ সালের শুরুর দিকে জোর গুঞ্জন চাউর হয়, অভিনেত্রী দর্শনা বণিক চুটিয়ে প্রেম করছেন; তা-ও সহশিল্পী সৌরভ দাসের সঙ্গে। একসঙ্গে নানা জায়গায় যাচ্ছেন তারা, সৌরভের বাড়ির সামনে পার্ক করা থাকছে দর্শনার গাড়ি। যদিও এই গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন এই যুগল। যদিও সর্বশেষ গুঞ্জনকে সত্যিতে রূপ দেন প্রেমিক যুগল।

‘অল্প হলেও সত্যি’সহ একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ-দর্শনা। সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব; যা পরে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়।

অর্ঘদীপ চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘জোজো’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে দর্শনার হাতেখড়ি। তারপরই অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘আসছে আবার শবর’-এ দেখা যায় তাকে। বাংলার পাশাপাশি, তেলুগু সিনেমাও কাজ করেছেন দর্শনা। ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবিলা লিচুর বাগানে, কেন, কখন, কীভাবে; লিখেছেন সাবিলা নিজেই
  • ঈদের আগে ৯ সিনেমার সার্টিফিকেশন সনদ, ঈদেই মুক্তি পাবে ৫টি
  • টিউলিপের আয়করসহ অন্যান্য নথি জব্দ করল দুদক
  • টিউলিপের আয়করসহ অন্যান্য নথি জব্দ করেছে দুদক
  • টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের আয়কর নথি জব্দ করেছে দুদক
  • কোহলির আইপিএল শিরোপা জেতায় যে ভূমিকা আনুশকার
  • করমুক্ত ঘোষণা দেওয়া ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের চারটিতে অর্থ পান বিজয়ীরা
  • গাইবান্ধায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধার 
  • মা হতে ভয় পান দর্শনা?