প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা
Published: 15th, March 2025 GMT
কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরীর উপস্থিতি ও বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরে আসেন। দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।
জাবেদ ইকবাল নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা কে করলো এবং কীভাবে বক্তব্য রাখলো? তদন্ত পুর্বক সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
রেজাউল করিম রেজা নামের এক পর্যটন সংগঠক মন্তব্য করেন, ‘‘এদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে গিয়ে পর্যটন নিয়ে মতবিনিময় সভা হলেও আমরা পর্যটনের লোকজন কথা বলার সুযোগ পাইনি।’’
তবে তিনি একজন উন্নয়নকর্মী হিসেবে ব্যাপারটি স্বাভাবিক চোখে দেখেছেন অনেকে।
শাখাওয়াত হোসাইন সুজন নামের একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, উনি একজন মানবিক নেত্রী, মানুষের জন্য কাজ করেন। তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। তাহলে তো দেশটা একটা গোষ্ঠীকে দিয়ে দিতে হবে।
নীলিমা চৌধুরী আওয়ামী রজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা যায়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তার একনিষ্ঠ প্রচার-প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ব্যাপারে নীলিমা চৌধুরীর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সফরে ড.
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে হামলা, নির্দেশদাতা এখনো পলাতক
চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বান্দরবান থেকে কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)–কে গ্রেপ্তার করে ডিবি (পশ্চিম)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, এক ব্যক্তির নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এ হামলা চালান। সেই নির্দেশদাতা এখনো পলাতক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাকে ভয় দেখানোই ছিল হামলার লক্ষ্য। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৪ ডিসেম্বর সকালে নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুল আরেফিন ভাড়ায় নেওয়া প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি তাঁদের গাড়ি থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির কাচে কোপ দেন। গাড়ির কাচ ভাঙার পাশাপাশি হামলাকারীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। তবে দুই কর্মকর্তা দ্রুত গাড়ি সরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম, রাজস্ব জালিয়াতি ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি আটকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত চক্র হামলা চালাতে পারে। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের নিষিদ্ধ পপি বীজ ও ঘন চিনি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেট এবং মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে দুজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। প্রসাধনী জব্দের পর মো. আসাদুজ্জামানকে ফোনে হুমকিও দেওয়া হয়।
হামলার নির্দেশদাতার পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তবে হামলায় ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধ পপি বীজ, ঘন চিনি ও মিথ্যা ঘোষণায় আসা প্রসাধনী জব্দের কারণে একটি সিন্ডিকেট ক্ষুব্ধ। গত দুই মাসে এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি আসছে।
আরও পড়ুনগাড়ি থামিয়ে কাচে চাপাতির কোপ, একজন বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’০৪ ডিসেম্বর ২০২৫