বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণী ব্লবফিশ নিউজিল্যান্ডের বছরের সেরা মাছের তকমা পেয়েছে। এটি মূলত ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং সামুদ্রিক কীট খেয়ে বেঁচে থাকে।

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিউজিল্যান্ডের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা মাউন্টেন টু সি কনজারভেশন ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক প্রতিযোগিতায় এ বছর ৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ভোটের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে ব্লবফিশ সেরা মাছের তকমা পেয়েছে। 
এটি ব্লবফিশের জন্য একটি অপ্রতুল জয়। কারণ, ২০১৩ সালে ‘আগলি অ্যানিম্যাল প্রিজারভেশন সোসাইটি’ আয়োজিত একটি অনলাইন ভোটে ব্লবফিশ বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণী হিসেবে নির্বাচিত হয়। প্রায় তিন হাজার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ ভোটে ৭৯৫টি ভোট পেয়ে ব্লবফিশ শীর্ষস্থান দখল করে। বিবিসি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ