জিয়া সৈনিক দলের উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদি নতুন মহল্লা ভাই ভাই টাওয়ার অফিসে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সৈনিক দল নেতা মনির হোসেন মনিরের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জিয়া সৈনিক দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক জি এম সুমন মুন্সী, জিয়া সৈনিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান (মিন্টু প্রধান) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের সভাপতি তৈয়ম হোসেন, জিয়া সৈনিক দল নেতা জাকির, ফেরদাউস বিজয়, ওমর ফারুক জয়, সানাউল্লাহ, মিজান, কবির, বাদল, রবিউল ইসলাম, টুটুল, খোনকসহ অনেকে।#
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন স ন ক দল ক দল র ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি নিয়ে দিনভর উত্তেজনা
রেলওয়ের জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দু’পক্ষের মধ্যে দিনভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাঠানটুলী এলাকায় জমি দখলের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের পর প্রথম দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৪টার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সেনাবাহিনী সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঠানটুলী এলাকার নিট কনসার্ন গ্রুপের ভেতরের জমি রেলওয়ের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া। একই এলাকার বাসিন্দা সাব্বির ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠানের ভেতর ৪ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় একটি হত্যার ঘটনায় মামলাও আছে। ওই জমি দখলমুক্ত করার জন্য সম্প্রতি তিনি ফতুল্লার হাজীগঞ্জের বাসিন্দা ফাহিম খন্দকার মো. অনিককে পাওয়ারনামা দেন। অনিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের সংগঠক বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর আহ্বায়ক মাহফুজ খান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে অনিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্র-জনতার ব্যানারে নিট কনসার্ন গ্রুপকে জমি দখলকারী আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন করেন। তারা ওই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। তখন নিট কনসার্নের শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অর্ধশতাধিক লোক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পরিচয় দিয়ে নিট কনসার্ন গ্রুপের সামনে জড়ো হন। এ সময় এই গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন। তারা ভেঙে ফেলা টিনের বেড়াটি আবার লাগিয়ে ফেলে। এ সময় ছাত্রনেতা পরিচয় দেওয়া লোকজন শ্রমিকদের প্রতিহত করতে পুলিশের কাছে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, পুলিশ তাদের কথা না শোনায় বিক্ষোভকারীরা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের সঙ্গে অসদাচরণ শুরু করেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর একটি দল। তারা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে অবস্থান নিলে দুই পক্ষ সরে যায়। ফাহিম খন্দকার মো. অনিক বলেন, ‘আমি সাব্বির ভূঁইয়ার কাছ থেকে এই জমি পাওয়ারনামা দলিল করে নিয়েছি। জমির দখল ছেড়ে দিতে বলায় নিট কনসার্ন গ্রুপের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজ খানের ভাষ্য, কর্মসূচিতে জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান, সদস্য সচিব জাভেদ আলম, মহানগরের সদস্য সচিব হৃদয় ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অন্য নেতারা ছিলেন। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু নিট কনসার্ন গ্রুপের ভাড়াটে গুণ্ডারা হামলা করেছে। এতে অনিকসহ চার-পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার (আজ) এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নিট কনসার্স গ্রুপের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘এটি রেলওয়ের সরকারি জমি। জমিটি আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। বছরে ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ টাকা কর দেই। ছাত্র-জনতার ব্যানারে কিছু লোক এসে জমি দখলের জন্য আমাদের দেওয়া বেড়া ভেঙে ফেলে। আমাদের এখানে প্রায় ২৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যদি আমরা হামলা করতাম, তাদের অস্তিত্ব থাকত না।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনূর আলম বলেন, সরকারি জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
ওসি শাহিনূর আলম ও সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান অসদাচরণের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। হাসিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষকে শান্ত করেছি। পরে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নেয় সেনাবাহিনী।’