আর্চারির কমিটি নিয়ে বিতর্ক, সার্চ কমিটির পদত্যাগের হুমকি
Published: 27th, March 2025 GMT
খো খো ফেডারেশন ও বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আজ সকালে ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটিও। কিন্তু আর্চারির কমিটি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সার্চ কমিটি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আর্চারির ঘোষিত কমিটি সরকার প্রত্যাহার করছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সার্চ কমিটির প্রধান জোবায়দুর রহমান।
২০০২ সালে যাঁর হাত ধরে বাংলাদেশের আর্চারির শুরু, সেই কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদকে (চপল) সাধারণ সম্পাদক করে আর্চারি ফেডারেশনের ১৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরপরই সার্চ কমিটি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘোষিত কমিটি তাদের নয় বলে জানায়।
সার্চ কমিটির দেওয়া তালিকা থেকে আর্চারির ঘোষিত কমিটিতে কতজন বদল হয়েছে, জানতে চাইলে জোবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা বলা যাবে না। গোপনীয় বিষয়। তবে এটা বলতে পারি, আমাদের দেওয়া কমিটি থেকে অনেকেই ছিলেন না।’
কাজী রাজীব উদ্দিন আর্চারির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
২৩ বছর ধরে আছেন এই পদে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের আর্চারি আজকের অবস্থানে এসেছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত নীতি হলো, এক পদে দুই মেয়াদের বেশি থাকা যাবে না। যদিও সাধারণ সম্পাদক পদে ব্যতিক্রম হয়েছে স্কোয়াশে। আর্চারিতেও ব্যতিক্রম ধরে নেওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু তাঁকে রেখে আর্চারির কমিটি ঘোষণার পর ক্ষোভে ফুঁসছে সার্চ কমিটি।
পাঁচ সদস্যের কমিটির প্রধান জোবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা হলো এনএসসির সচিব আমিনুল ইসলাম সাহেবের উর্বর মস্তিষ্কের ফল (কমিটির বদল)। উনি মানুষকে মানুষ জ্ঞান করছেন না। ওনার উৎসাহে এটা হয়ছে। শুটিং, উশু, বক্সিংসহ আরও কয়েকটি ফেডারেশনের কমিটির নাম তিন মাস হয়ে গেছে ঘোষণা হয় না। আর্চারি ফেডারেশনের কমিটি পরশু জমা দিয়েছি আর আজই তা ঘোষণা হয়ে গেছে! উৎসাহের একটা সীমা থাকে। উপদেষ্টা মহোদয় এটা পুরোপুরি জানেনও না।’
আর্চারির মঞ্চে দিয়া ও রোমান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র চ কম ট আর চ র র কম ট র র কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে তাদের দেখেছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলকে দেখা হয়েছে। এবার অমুককে (জামায়াতে ইসলামী) দেখুন। এই অমুককে দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে কীভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠী ইদানীং বলতে শুনেছি বা বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে যে, অমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। যাদের কথা বলে অমুককে দেখুন, তাদের তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে রক্ষার্থে কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এই যাদের কেউ কেউ বলে যে, একবার দেখুন না এদের। তাদের দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষকে শুধু হত্যাই করেনি, তাদের সহকর্মীরা কীভাবে মা-বোনদের ইজ্জত পর্যন্ত লুট করেছিল, এই কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। এতে ছাত্রদলের সারা দেশের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের হাজারের বেশি নেতা অংশ নেয়।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বা বেশ কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জিনিসের টিকিট বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জিনিসের কনফারমেশন (নিশ্চয়তা) দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘দোজখ, বেহেশত, দুনিয়া সবকিছুর মালিক আল্লাহ। যেটার মালিক আল্লাহ, যেটার কথা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন, সেখানে যদি আমি কিছু বলতে চাই, আমার নরমাল দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বুঝি যে, সেটি হচ্ছে শিরক। সেটি হচ্ছে শিরকের পর্যায়ে পড়ে।'
আরও পড়ুনজামায়াতের টিকিট কাটলে জান্নাতের টিকিট কাটা হবে, কোথায় আছে বলুক তারা: মির্জা ফখরুল২২ নভেম্বর ২০২৫অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে যারা এসব কথা বলে, তারা শিরক করছে। যারা শুনবেন, তাঁরাও শিরকের পর্যায়ে পড়ে যাবেন।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।