সিদ্ধিরগঞ্জে যানজট নিরসনে একদল স্বেচ্ছাসেবী, খুশি পথচারীরা
Published: 27th, March 2025 GMT
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম থেকে সাধারণ মানুষের চলাচল ও যানজট নিরসনে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের আদমজী কদমতলী এলাকায় একদল স্বেচ্ছাসেবী পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে সচেতনতামূলক ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেন।
বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী কদমতলী এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একদল স্বেচ্ছাসেবী পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায়।
এসময় যানজট নিরসনের স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, প্রথম রমজান থেকে আমরা পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে এ যানজট নিরসনের কাজ করছি। মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে আদমজী চাষাড়া সড়কে কদমতলী পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এ কাজ করছে।
যানজট নিরসনের স্বেচ্ছাসেবীরা হলো- মো: সজল, শাহালম, জাকির, তানভির, নয়ন, জাহাঙ্গীর, জালাল ও পাপ্পুসহ আরো অনেকেই তারা রমজান মাসে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বিনা সার্থে এ কাজ করছেন। তাদের এমন কাজ দেখে খুশি জনসাধারণ পথচারীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ য নজট ন রসন গ কম ত পথচ র রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (২২) ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান। ওসি রাসেল বলেন, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বিকেলে ক্যাম্পাসের সামনে ছিল। এ সময় একদল যুবক জাহিদুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থী জাহিদুলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আল আমিন হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানা যায় বিকেলে দুই নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ হাসাহাসির অভিযোগে একদল যুবক তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছেন। জাহিদুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহে।
জাহিদুলের বন্ধু মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে জাহিদুল ও তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন। সেখানে আরও দুই নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর মনে হয় জাহিদুল ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন। তাঁরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুলেরা অস্বীকার করেন। পরে ওই দুই নারী শিক্ষার্থী গিয়ে বহিরাগত তিনজনকে ডেকে আনেন। ওই তিনজন এসে জাহিদুলদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁরা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। একপর্যায়ে বহিরাগত ওই তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে ফটকের বাইরে অবস্থায় নেন। জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয় ফটক থেকে বের হতেই তারাঁ তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যায়।