বন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
Published: 27th, March 2025 GMT
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২৬ মার্চ) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের শুভসূচনা করা হয়।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বন্দর সমরক্ষেত্র -৭১ স্মৃতিসৌধে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার রাহিমা আক্তার ইতি শহীদের স্মৃতিস্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পন পর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে থেকে, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, বন্দর প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকে বন্দর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আতাউর রহমান, মোঃ কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপন, ক্রীড়া সম্পাদক দ্বীন ইসলাম দীপু, প্রচার সম্পাদক শাহ জামাল, নির্বাহী সদস্য হাজী নাসির উদ্দিন, মাহফুজ আলম জাহিদ, স্থায়ী সদস্য লতিফ রানা, ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শহীদের স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বন্দরে সকল সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তেলন করা হয়। এ ছাড়াও সমরক্ষেত্র -৭১ মাঠে বন্দরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বন্দরে বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের কলকাতার নগর দায়রা আদালত। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বুধবার তাঁদের এ সাজা দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মাওলানা ইউসুফ শেখ, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ রুবেল, জবিরুল ইসলাম ও আনোয়ার হুসেন। রুবেল, জবিরুল ও আনোয়ার বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। আবদুল কালাম নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচার ভবনের মুখ্য কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, এই সন্ত্রাসীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার আরজি জানানো হয়েছিল। বিচারক পাঁচ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ, শহিদুল, রুবেল, জবিরুল ও আবদুল কালাম আগে থেকেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছিলেন। খাগড়াগড় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) হাত থেকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট, বনগাঁ ও আসাম থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, জাল পরিচয়পত্র ও জিহাদি কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।
সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেছেন, ছয়জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছিল। রুবেল, জবিরুল ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনেও মামলা করা হয়েছিল।