দেশে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব লিংক, সাইট, গেটওয়ে ও অ্যাপ্লিকেশন ব্লক বা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ইয়াহুসহ অন্য কোনো ওয়েবসাইটে যাতে দেশে অনলাইন জুয়ার কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার বা প্রসার করতে না পারে, সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়ার আরজিও রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আজ মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে নোটিশটি পাঠানো হয়। সংগঠনটির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ই-মেইলে ওই নোটিশ পাঠান।

যেকোনোভাবে জুয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত ওয়েবসাইট, লিংক, এজেন্ট বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনে অনুমতি না দিতে সব মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি ও তফসিলি ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে। নোটিশের ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ধরনের অনলাইন জুয়াকে যারা উৎসাহ দেয়, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। গুগলের পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন অনলাইন জুয়াখেলার সাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা লিংকে প্রবেশ করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন বা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে বিশেষ তদারকি দল গঠন করতে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসাকিব–বুবলী–পিয়াসহ তারকাদের অনলাইন জুয়ার অবাধ প্রচারণা০৮ এপ্রিল ২০২৫

নোটিশের ভাষ্য, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জুয়াখেলা বেআইনি এবং অপরাধ। যাদের বরাবর নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অনলাইন জুয়া দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্যমতে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের নামীদামি সেলিব্রিটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়া তাদের পেজে বিভিন্ন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

আরও পড়ুনদেশে অনলাইন জুয়ার বাজার বড় হচ্ছে, নেই আইনি পদক্ষেপ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদক ষ প ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, গত দুই হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। তাই সোমবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।

এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ