কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ৫ ফুট লম্বা ও ৩৮ কেজি ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ। ধরা পড়া মাছটি বাজারে আনার পর ৪৭ হাজার টাকায় কিনে নেন এক ব্যবসায়ী। আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিঘাট এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নুর কবির নামের এক ব্যক্তির বড়শিতে এ মাছটি ধরা পড়েছে। তিনি আজ বিকেলের দিকে বড়শি ফেলেও কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফিরে যাওয়ার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে বড় একটি কোরাল মাছ ধরা পড়ে। বড়শি টেনে জেটিতে তোলা হলে স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকেরা মাছটি একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যার পরে নুর কবির একটি বড় কোরাল মাছ নিয়ে বাজারে আসেন। তিনি মাছটির দাম হাঁকেন ৪৭ হাজার টাকা।

বড়শির মালিক নুর কবির বলেন, ধরা পড়া মাছটি ৪৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন তিনি। টেকনাফ পৌরসভার পুরোনো পল্লানপাড়ার বাসিন্দা মো.

ইউসুফের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী আমির হামজা ৪৭ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

মাছ ব্যবসায়ী আমির হামজা বলেন, তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি আগামীকাল সোমবার বাজারে বিক্রি করবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে নাফ নদী এর আওতাভুক্ত নয়। পাশের দেশ মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে বাংলাদেশি জেলেদের অনেকে জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে এখন প্রায় সময় কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও বেশ ভালো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৪৭ হ জ র ন ফ নদ বড়শ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছুরই শেষ সুযোগ আজ

অনুশীলন তখন প্রায় শেষ দিকে। নেট বোলারদের সবাই ব্যস্ত ড্রেসিংরুমের আশপাশের নেটে ব্যাটসম্যানদের বোলিং করায়। এর মধ্যেই শামীম হোসেনকে নিয়ে উল্টো দিকের নেটে এলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। সেখানে আর কোনো ব্যাটসম্যান নেই, বোলারও আশরাফুল একাই।

দীর্ঘ সেই অনুশীলনের ফাঁকে শামীম কাভারের দিকে ড্রাইভ খেলতেই আশরাফুল বলে উঠলেন, ‘এটা উড়িয়ে মারতে গেলেই কিন্তু ক্যাচ হয়ে যেত।’ শামীমের শটের প্রশংসাও করলেন তিনি। আশরাফুল শামীমের কাছে জানতে চাইলেন আর কোনো শট ঝালিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে আছে কি না তাঁর।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচের আগে শামীমকে নিয়ে ব্যাটিং কোচের মতো বাড়তি মনোযোগ সবারই। প্রথম দুই ম্যাচের দলে না থেকেও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন শামীম। শামীমকে আলোচনায় নিয়ে এসেছিলেন আসলে অধিনায়ক লিটন দাসই।

প্রথম দুই টি–টোয়েন্টির দলে শামীমকে না রাখায় প্রধান নির্বাচকের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। অথচ শামীমকে বাদ দিয়ে যাঁকে নেওয়া হয়েছে, সেই মাহিদুল ইসলাম কিনা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের একাদশে সুযোগই পাননি! বিশ্বকাপের আগে তাঁকে পরখ করে দেখতে চাওয়া নির্বাচকদের ভাবনাটা কি তাহলে উপেক্ষিতই থেকে গেল টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে?

কাল অনুশীলনের অবসরে শামীম হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ