জাতীয় নাগরিক পার্টির আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের তদন্তের জন্য ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
রোববার এনসিপির তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে 'শৃঙ্খলা কমিটি' গঠন করা হয়।
শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিন। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
‘যারা বলে বেড়াচ্ছিল নির্বাচন হবে না, তাদের মুখে চুনকালি পড়ল’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল এবং আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে স্বাগত জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান ও সংস্কারকে ধারণকারী তিন দলীয় ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের পক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া এক বার্তায় এই তথ্য জানান।
যৌথ বিবৃতিতে জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম এবং আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এতদিন যেসব সুযোগ সন্ধানী এবং সংস্কারবিরোধী চক্র নির্বাচন হবে না বলে গল্প ছড়িয়েছে, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে তাদের মুখে চুনকালি পড়ল।
সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেতারা বলেন, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।”
একই সাথে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে নেতারা বলেন, সকল দলের প্রতি সমান আচরণ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
বেশ কয়েক জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জোট নেতারা বলেন, “এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ১৪ শত শহীদ ও হাজারো আহত মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।”
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন; সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোভাব এখনো ততটা জনবান্ধব নয়।
অতিদ্রুত পেশাদার ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দেন তিন নেতা।
উদ্বেগের সঙ্গে নেতারা বিবৃতিতে বলেন, সকল শর্ত পূরণ করার পর এমনকি হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের আচরণ জনমনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি করবে।
সকল নেতিবাচক আচরণ ও প্রশ্নবোধক কর্মকাণ্ড পরিহার করে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জোটটির নেতারা।