Samakal:
2025-12-12@03:08:48 GMT

এনসিপির ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন

Published: 20th, April 2025 GMT

এনসিপির ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন

জাতীয় নাগরিক পার্টির আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের তদন্তের জন্য ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

রোববার এনসিপির তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে 'শৃঙ্খলা কমিটি' গঠন করা হয়। 

শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিন। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ডা.

ভাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা, মীর আরশাদুল হক, ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান, আকরাম হোসেন (রাজ), আরমান হোসাইন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, সানাউল্লাহ খান, সাইয়েদ জামিল।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

খুন-অস্ত্রবাজিতে রয়েছে তিন স্তরের সন্ত্রাসী, নির্দেশ আসে বিদেশ থেকে

এক দল খুন, অস্ত্রবাজির পরিকল্পনা করে। আরেক দল সরাসরি হত্যা–অস্ত্রবাজিতে অংশ নেয়। অন্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকে। তিন ভাগে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারীরা। পরিকল্পনা, হামলা ও অস্ত্রবাজির পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিন ভাগে সাজানো একটি বাহিনীর মাধ্যমে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত সন্ত্রাসীদের নিয়ে। বিদেশে বসে নির্দেশনা দেন সাজ্জাদ।

৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর বাসায় গুলিতে অংশ নেওয়া ইফতেখার ইবনে ইসহাক নামের এক সন্ত্রাসীকে ৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে দেশের বাইরে বসেই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী নিয়ন্ত্রণ করছেন নগর ও জেলার বিস্তৃত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক।

কে এই সাজ্জাদ

চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী মূলত অপরাধজগতে পরিচিত হন ১৯৯৯ সালে কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান খুনের পর। মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ায় খালাস পেলেও নগরের অপরাধজগতে তাঁকে নিয়েই শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়।

২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগের ছয় নেতা–কর্মীসহ আটজনকে ব্রাশফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত সেই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাজ্জাদ—এ অভিযোগ ওঠে বহুবার। একই বছরের অক্টোবরে একে–৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিনে বেরিয়ে ২০০৪ সালে দেশ ছাড়েন। তার পর থেকেই বিদেশে বসে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাঁর বাহিনী। অবশ্য ‘এইট মার্ডার’ মামলা থেকে খালাস পান তিনি।

শুরুতে নুরনবী ম্যাক্সন, সরোয়ার হোসেন, আকবর আলী ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে গড়ে ওঠে এই বাহিনী। ম্যাক্সন ভারতে মারা যান, সরোয়ার দল ছাড়েন। এরপর ২০১৫ সাল থেকে নেতৃত্ব নেন ছোট সাজ্জাদ।

সাজ্জাদ বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত হয় মোবারক হোসেন ইমন (ওপরে) ও মোহাম্মদ রায়হানের নেতৃত্বে

সম্পর্কিত নিবন্ধ