তিন সপ্তাহে ১ লাখের বেশি আফগান নাগরিক পাকিস্তান ছেড়েছেন। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। ইসলামাবাদ বসবাসের অনুমতি ব্যাপক হারে বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তান ছেড়েছেন এসব আফগান।

‘সন্ত্রাসী ও অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে আফগানদের ব্যাপক হারে দেশ থেকে বিতাড়নের কাজ শুরু করে পাকিস্তান সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এপ্রিলে ১ লাখ ৫২৯ জন আফগান নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশটির তালেবান সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে আফগানদের বিতাড়ন করছে পাকিস্তান সরকার। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় হামলা বেড়ে যাওয়ার জন্য তালেবান সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে আসছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তান ছাড়ার সময়সীমা শেষ হতে যাওয়ায় এপ্রিলের শুরু থেকেই সীমান্ত অভিমুখে আফগান পরিবারগুলোর গাড়িবহর দেখা যায়। মানবাধিকার সংকটে জর্জরিত একটি দেশে ফিরছে পরিবারগুলো।

আফগান নাগরিকদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে এক দিনের সফরে কাবুলে যান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এরপর গত শনিবার প্রতিবেশী দেশটির ‘একতরফা এই পদক্ষেপের’ নিন্দা জানান আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ।

এর আগে পাকিস্তানে ‘অবৈধভাবে’ অবস্থানরত আফগান নাগরিকদের গত বছরের নভেম্বরের মধ্যে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। বেঁধে দেওয়া ওই সময়সীমার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি আফগান ফিরে যান।

আরও পড়ুনপাকিস্তান ছাড়লেন ১ লাখ ৪০ হাজার আফগান ০১ নভেম্বর ২০২৩

পাকিস্তানে প্রায় ৪০ লাখ আফগান বসবাস করছেন। সরকারের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে ১৭ লাখই অনিবন্ধিত।

সম্প্রতি আফগান অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয় ইসলামাবাদ। দেশটির অভিযোগ, সীমান্তে হামলা বেড়ে যাওয়া, জঙ্গি হামলা, চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে আফগান নাগরিকেরা জড়িত। তবে আফগানিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আরও পড়ুনআফগান অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু পাকিস্তানের ০৬ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?

ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’

ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লন্ডন বৈঠকের বিষয় ও সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে: চরমোনাই পীর
  • সংঘাত বন্ধে ‘চুক্তি করবে’ ইরান-ইসরায়েল, আশা ট্রাম্পের
  • বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
  • হামাস থেকে হিজবুল্লাহ: পরাজিত মিত্ররা কি খামেনির পতনের পূর্বাভাস?
  • জামায়াত-এনসিপি নাখোশ
  • সরকার-বিএনপি সমঝোতা অনিশ্চয়তা দূর করবে, আশা ইসলামী আন্দোলনের
  • ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
  • ইউনূস-তারেক বৈঠক ‘টার্নিং পয়েন্টে’, অনিশ্চয়তা কাটছে