বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবি
Published: 5th, May 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ মে) বিভিন্ন সময়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। রাইজিংবিডির বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে থাকছে বিস্তারিত-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)
সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় রাবির প্যারিস রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে সহযোগিতা করবে সুইডেন’
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিপন্ন প্রজাতির মৃত কচ্ছপ
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫ সালে ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ পদে ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এছাড়া বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যে সকল পদ নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদগুলো সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়।
কিন্তু ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে একদিকে যেমন ফিশারিজ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে তেমনি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছে না।
এতে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, রাবির ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাঈম, জান্নাতুল হক সিমু, অন্তরা প্রমুখ।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)
বেলা সাড়ে ১১টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নে ও সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বাসের ড্রাইভার দিয়ে যেমন যুদ্ধ বিমান চালানো সম্ভব না, ঠিক তেমনি ডিপ্লোমা কিংবা জুওলজি অথবা অন্য বিভাগের শিক্ষার্থী দিয়ে ফিশারিজ সেক্টরে উন্নয়ন করা সম্ভব না। বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় হয় মৎস্য সম্পদ থেকে। মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের উন্নয়নের জন্য ফিশারিজ শিক্ষার্থীদের কন্ট্রিবিউশন অবশ্যই প্রয়োজন। আমরা দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরকে সমৃদ্ধির শক্তিশালী করতে চাই।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি)
সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২০১৫ সালে প্রস্তাবিত ৩৯৫টি সৃজিত পদের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
এ সময় তারা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের গৃহীত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো.
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের দেড় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. নির্মল চন্দ্র রায়, ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত আফরীন উর্মি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২০১৫ সালের এপ্রিলে উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে ৩৯৫টি নতুন পদসহ মোট ৬৩৭টি পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়। প্রস্তাবনায় পদগুলোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ, বেতন স্কেল নির্ধারণ, ব্যয় মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেট থেকে মেটানোর কথা বলা হয়।
শর্ত হিসেবে ক্যাডার রুলস সংশোধন, নিয়োগবিধি হালনাগাদ এবং ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ১০ বছরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজের শিক্ষার্থীরা অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য ও প র ণ স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউজবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাবি
টাঙ্গুয়ার হাওরকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে হাউজবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃপক্ষের আরোপিত শর্ত মেনে পরিচালনা করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন হাওর অঞ্চলবাসীরা।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
হাওর অঞ্চলবাসীর অন্যান্য দাবিগুলো হলো- ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল প্রভৃতি পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে বা রিসাইকেল করতে হবে; অনতিবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরে সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্বসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে; জেলা প্রশাসকের সহায়তায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মনুষ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে; মানুষের চলাচল, অবস্থান, শব্দ, আলো প্রভৃতি যাতে পাখি, মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণীর ক্ষতি না করে সেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ দূষিত না করার নীতি অবলম্বন করতে হবে এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান বলেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা, অন্যতম রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা সাঁতার কাটে নির্বিঘ্নে। বর্তমানে অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে। এই হাওরে প্রায় ২০০ হাউজবোটে হাজার হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাত্রিযাপন করছে। তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানিতে পড়ে ও মাটিতে আটকে গিয়ে স্বচ্ছ পানিকে দূষিত করছে। মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে। কৃষি কাজেরও অসুবিধা হচ্ছে। উচ্চ শব্দের গান-বাজনা, উদ্দাম নৃত্য, রাতের উজ্জ্বল আলোর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের পাখিশুমার অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। বর্তমানে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারে। মাছের পরিমাণও ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।
মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলের অন্যান্য বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।