ববি উপাচার্যের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ৩ মাস ধরে আটকে আছে পরীক্ষা
Published: 6th, May 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের একটি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ৩ মাস ধরে আটকে আছে সমাজকর্ম বিভাগের পরীক্ষা।
মঙ্গলবার (৬ মে) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন বিভাগটির প্রভাষক মোস্তাকিম রহমান।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুক পোস্টে মোস্তাকিম রহমান বলেন, “শিক্ষক হিসেবে নাকি উপাচার্যের পদত্যাগ চাওয়া যাবে না, তাই আমি চাচ্ছি না পদত্যাগ।”
আরো পড়ুন:
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা
ববি উপাচার্যের পদত্যাগের ১ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের
তিনি সমাজকর্ম বিভাগের দুটি গুরুতর সমস্যা তুলে ধরে পোস্টে বলেন, “একটি ব্যাচ সব ক্লাস শেষ করে ৩ মাস ধরে শুধু উপাচার্যের একটি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে ৩ মাসেও উপাচার্য স্বাক্ষর দেননি। অন্যদিকে, আরেক ব্যাচের ফলাফল জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় লেগেছে, একটি মাত্র স্বাক্ষরের জন্য।”
তিনি আরো বলেন, “ভর্তি কার্যক্রম শুরুর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হলেও (যেখানে উপাচার্য এখন রেজিস্ট্রারের দায়িত্বও পালন করছেন) এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগামী ৩ মাসেও যদি স্বাক্ষর না হয়, তাহলে এই ব্যাচটিও পরীক্ষায় বসতে পারবে না, যদিও তাদের সব ক্লাস প্রায় শেষ।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে এই শিক্ষক বলেন, “আমার শিক্ষার্থীদের অপরাধ কী? এই ৩ মাসের একাডেমিক ক্ষতি উপাচার্য কি পুষিয়ে দিতে পারবেন? উপাচার্য যদি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় নিতে না পারেন, তাহলে তাকে ঢাকায় বসিয়ে রেখে ধুয়ে পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।”
তিনি আরো বলেন, “অন্যান্য বিভাগেও সমস্যা ভয়াবহ এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার পেছনে এই একজন ব্যক্তিকেই দায়ী করা যায়।”
লেখার শেষ অংশে তিনি লেখেন, “শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির পক্ষে আছি।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল উপ চ র য র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
’৭১-কে ’২৪-এর মুখোমুখি না দাঁড় করানোর আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
’৭১ ও ’২৪— বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু এ দুটি ঘটনাকে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিভাজনের রাজনীতি চালানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, ’৭১ ও ’২৪ কখনোই একে অপরের পরিপন্থী নয়। বরং ১৯৪৭ সালে ভূখণ্ড অর্জন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি— এই তিনটি অধ্যায় একই ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামের অংশ।
সংগঠনটি বলেছে, ‘মুজিববাদী সংবিধানের ফলে সৃষ্টি ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। তাই ’৭১ ও ’২৪— উভয়ই আমাদের গৌরবের অংশ। এই সংগ্রামগুলোর প্রত্যেকটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে ও সমভাবে সম্মান করে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ’৭১ ও ’২৪-কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াস আসলে ‘শাপলা ও শাহবাগের বাইনারি’ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা, যার মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। অথচ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল মুজিববাদী শাসনব্যবস্থা ও বাহাত্তরের ত্রুটিপূর্ণ সংবিধানের ভিত্তিতে গঠিত দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি বলেছে, ‘এ ধরনের অপরাজনীতি ছাত্র-জনতা কখনই মেনে নেবে না। আমরা জাতীয় স্বার্থ ও জনকল্যাণের পক্ষে রাজনীতির আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, কেউ যদি আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার লক্ষ্যে এমন অপচেষ্টা চালায়, তাহলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’
আরও পড়ুনবাম সংগঠনগুলোর ঘৃণা মিছিল, ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন১ ঘণ্টা আগে