ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি পাকিস্তানের ওপর ভারতের হামলা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সামরিক স্থাপনা টার্গেট করার পর, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের কারিগরি স্থাপনা, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, রেডার সাইট এবং অস্ত্র ডিপোগুলোকে বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে।’

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘রফিকি, মুরিদ, চাকলালা, রহিমইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় অবস্থিত পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানের পসরুরে অবস্থিত রেডার সাইট এবং শিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটি টার্গেটেও ভারত হামলা চালিয়েছে।

এই ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর সময় সাধারণ মানুষের অনেক কম ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝাড়ু হাতে ‘পরিচ্ছন্নকর্মীদের’ ডিসির বিরুদ্ধে মিছিল

‘পরিচ্ছন্নকর্মী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ লালমনিরহাটের হরিজন সম্প্রদায়। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিসে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ব্যানার ও ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করেছে জেলার দুটি কলোনীর শতাধিক মানুষ।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সুইপার কলোনী থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন আন্দোলনকারীরা। সেখানে ‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ ও হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন’ জেলা শাখার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এচইএম রকিব হায়দার ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরি করে কৌশলে তাদের নিয়োগ বাতিল করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংস্থাপন শাখায় মোট ৭টি পদের অনুকূলে ৩৯ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী’ পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় হরিজন সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ডিসি অফিস ওই ৩৯ জন স্টাফ নিয়োগে তাদের সঙ্গে যে বৈষম্য করেছে, তার প্রমাণ প্রশ্নপত্রের কাঠিন্য। অথচ এই পদে ঐতিহ্যগতভাবে এবং পেশাগত দিক দিয়ে হরিজনদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা বলেও জানান তারা। 

আগামীকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই, বৈষম্যের প্রতিবাদে সরব হলেন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট কারো জন্য করা হয় না। সকল প্রার্থী বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে কেউ যদি আন্দোলন করে তাতে কিছু করার নেই।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মাত্র ফাইনাল হলো, অপেক্ষা করেন! অস্থির হওয়ার কিছু নেই। আর পরীক্ষায় টেকেনি কে বলেছে? হরিজন সম্প্রদায়ের তিনজন টিকেছে বলে আমি জেনেছি।’’

ঢাকা/সিপন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ