পাকিস্তানের যেসব সামরিক স্থাপনায় হামলার তথ্য জানাল ভারত
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি পাকিস্তানের ওপর ভারতের হামলা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সামরিক স্থাপনা টার্গেট করার পর, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের কারিগরি স্থাপনা, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, রেডার সাইট এবং অস্ত্র ডিপোগুলোকে বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে।’
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘রফিকি, মুরিদ, চাকলালা, রহিমইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় অবস্থিত পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানের পসরুরে অবস্থিত রেডার সাইট এবং শিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটি টার্গেটেও ভারত হামলা চালিয়েছে।
এই ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর সময় সাধারণ মানুষের অনেক কম ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাখাইনে হাসপাতালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৪
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে একটি হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত এবং আরো কয়েক ডজন আহত হয়েছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়য় সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
হাসপাতালটি রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-ইউ শহরে অবস্থিত, যা আরাকান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি এলাকা। আরাকান আর্মি দেশটির সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এমন শক্তিশালী জাতিগত বাহিনীগুলির মধ্যে একটি।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে গৃহযুদ্ধ শুরু করার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনী জাতিগত বাহিনী থেকে অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য বিমান হামলা তীব্র করেছে। তারা তার শত্রুদের উপর বোমা ফেলার জন্য প্যারাগ্লাইডারও মোতায়েন করেছে।
এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। কারণ এই মাসের শেষের দিকে দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর প্রথম নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
তবে, টেলিগ্রামে সামরিকপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো দাবি করেছে, চলতি সপ্তাহের হামলাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে করা হয়নি।
আরাকান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র খাইং থুখা বিবিসিকে জানিয়েছেন, হতাহতের বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী।
তিনি বলেছেন, “এটি বেসামরিক স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর সর্বশেষ নৃশংস আক্রমণ। বেসামরিক লোকদের উপর বোমা হামলার জন্য সামরিক বাহিনীকে দায় নিতে হবে।”
আরাকান সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ এই হামলায় ঘটনাস্থলেই ১০ জন রোগী নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে যাতে ভবন কমপ্লেক্সের কিছু অংশের ছাদ হারিয়ে গেছে, ভাঙা হাসপাতালের বিছানা এবং মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে
ঢাকা/শাহেদ