এবার ব্যালন ডি’অর তাহলে কার?

এটা বিশ্বকাপের বছর নয়, ইউরো বা কোপা আমেরিকারও নয়। যে বছর এ রকম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থাকে, সে বছরের ব্যালন ডি’অরের জন্য ওই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স হয়ে ওঠে প্রধান বিবেচ্য। এই বছর যেহেতু সে রকম কিছু নেই, চ্যাম্পিয়নস লিগের পারফরম্যান্সই হতে পারে বড় বিবেচনার বিষয়, সঙ্গে লিগের পারফরম্যান্স।

তো সেই বিবেচনায় কারা এগিয়ে? পিএসজির উসমান দেম্বেলে, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা, ভিতিনিয়া, ইন্টার মিলানের লাওতারো মার্তিনেজ, ডেঞ্জেল ডামফ্রিস, বার্সেলোনার রাফিনিয়া, পেদ্রি, লামিয়ে ইয়ামাল, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ—ঘুরেফিরে এই নামগুলোই আসছে আলোচনায়।

সেখান থেকে যদি আরও ছোট একটা তালিকা করা হয়, তাহলে কারা থাকবেন? প্রশ্নটা করা হয়েছিল এবার ব্যালন ডি’অরের অন্যতম দাবিদার বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনিয়াকে।

তিনি কাদের রেখেছেন জানেন? নিজের দুই বার্সা–সতীর্থ—লামিনে ইয়ামাল ও পেদ্রি, রিয়াল মাদ্রিদের দুই সুপারস্টার—ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে আর লিভারপুলের রাজপুত্র মোহাম্মদ সালাহকে! এরাই রাফিনিয়ার চোখে সেরা পাঁচ। তাঁর কথা, ‘লামিনে, সালাহ, এমবাপ্পে.

..পেদ্রি তো আমার কাছে বিশ্বের সেরা।

লামিনে ইয়ামালকে নিজের তালিকায় রেখেছেন ইয়ামাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কা ও ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের দল ঘোষণা

পাকিস্তানের উদীয়মান ব্যাটার হাসান নওয়াজ আসন্ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন। পরিবর্তে তাকে পাঠানো হয়েছে চলমান কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলতে। ওডিআই দলে তার পরিবর্তে কাউকে নেওয়া হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে তার জায়গায় ফখর জামানকে ডাক দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

মাত্র তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেই গত মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইডেন পার্কে শতক হাঁকিয়ে আলোচনায় আসেন হাসান নওয়াজ। সেই ইনিংসই তাকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়। শুরুটা দারুণ হলেও ধারাবাহিকতার অভাবে শিগগিরই তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রথম দশ ম্যাচে পাঁচবারই শূন্য রানে আউট হন এই তরুণ ব্যাটার।

আরো পড়ুন:

বিসিবির জিরো টলারেন্স, তদন্ত কমিটির সুপারিশে প্রয়োজনে পরিচালককেও ওএসডি

১৫১ বছরের পুরনো ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচন

তবুও, মাঝ ও শেষের ওভারে বড় শট খেলার দক্ষতার কারণে তাকে দলের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেই বিশ্বাস আরও শক্ত হয়। তিনি দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন এবং ১৬২ এরও বেশি স্ট্রাইক রেটে প্রতিযোগিতার তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।

তবে গত দুই মাসে ধীরে ধীরে তার অবস্থান দুর্বল হতে শুরু করে। এশিয়া কাপে ফাইনালের পথে থাকা পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। জায়গা পান হুসেইন তালাত, যিনি তুলনামূলকভাবে কম আক্রমণাত্মক ব্যাটার। ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনি এখন পর্যন্ত মাত্র চার ম্যাচ খেলেছেন। সবই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, গড় ছিল ৫৬ এরও বেশি।

তবুও প্রথম ম্যাচেই এক অদ্ভুত আউট তাকে সমালোচনার মুখে ফেলে। টার্নিং পিচে জর্জ লিন্ডের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্টাম্পড হন। যা তার ম্যাচ সচেতনতার অভাব প্রকাশ করে। এরপর বাকি ম্যাচগুলোতে আর তাকে খেলানো হয়নি। সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টিগুলিতেও পরিস্থিতি সুখকর নয়। শেষ আট ইনিংসে কেবল একবারই তিনি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন, গড় ৭ এর নিচে।

পাকিস্তান নভেম্বর ১১ থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এরপর নভেম্বর ১৭ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ, যেখানে থাকবে জিম্বাবুয়েও। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এটাই হবে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বহুজাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।

পাকিস্তানের ওয়ানডে দল:
শাহীন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফয়সাল আকরাম, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আয়ুব ও সালমান আলী আগা।

ত্রিদেশীয় সিরিজের পাকিস্তান দল:
সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), আব্দুল সামাদ, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটরক্ষক), সাইম আয়ুব, শাহীন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান (উইকেটরক্ষক) ও উসমান তারিক।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রীলঙ্কা ও ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের দল ঘোষণা