অটোরিকশায় যাত্রী উঠানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
Published: 12th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় (ইজিবাইক) যাত্রী উঠানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ওসিসহ অন্তত ২৫ জন।
সোমবার দুপুরে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় ইজিবাইকে যাত্রী উঠানো নিয়ে স্থানীয় একজনের সঙ্গে শহরতলির বড় বহুলা গ্রামের এক ব্যক্তির বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি দুই এলাকার মানুষের মধ্যে জানাজানি হলে তাদের স্বজনসহ স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
দুই পক্ষের এ সংঘর্ষ শায়েস্তানগর থেকে ২ নম্বর পুল এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বাপ্পি মিয়া, রুখন মিয়া, সুমন মিয়া, শাওন খান, আব্দুস সালাম, মুরাদ মিয়া ও গোলাম মাহবুবকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিনিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ