বিমান বাংলাদেশে ফ্লাইট স্টুয়ার্ড (পুরুষ) ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস (নারী) পদের মৌখিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা
Published: 13th, May 2025 GMT
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড (পুরুষ) ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস (নারী) পদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড (পুরুষ) পদের পরীক্ষা ১৭ মে শুরু হবে পরীক্ষা। ওই দিন দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। বেলা ১টা ও ২টায় হবে এ পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে ২২ মে। ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস (নারী) পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২২ মে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড (পুরুষ) ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস (নারী) পদের মৌখিক পরীক্ষা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়, বলাকা ভবন, কনফারেন্স রুম (২য় তলায়) অনুষ্ঠিত হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—
আরও পড়ুনমৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন নেবে ৯মসহ বিভিন্ন গ্রেডে, ৩৮ পদে নিয়োগে আবেদন শুরু১১ ঘণ্টা আগে১.
২. টেলিটক প্রদত্ত অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি (কালার প্রিন্ট)।
৩. পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত চার (৪) কপি ছবি।
৪. জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম (নিবন্ধন) সনদের মূলকপি এবং এক (১) সেট সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. মেয়র/চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্রের মূলকপি এবং এক (১) সেট সত্যায়িত ফটোকপি।
৬. সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও নম্বরপত্রের মূলকপি এবং এক (১) সেট সত্যায়িত ফটোকপি।
৭. কম্পিউটার জ্ঞান ও দক্ষতাসংক্রান্ত সনদের মূলকপি এবং এক (১) সেট সত্যায়িত ফটোকপি।
৮. অন্যান্য আনুষঙ্গিক ডকুমেন্টসের (যদি থাকে) মূলকপি এবং এক (১) সেট সত্যায়িত ফটোকপি।
মৌখিকের সময়সূচি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, বেতন কম, কারিগরিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা৬ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদ র ম খ ক পর ক ষ ফ ল ইট স ট য পর ক ষ র র ম লকপ
এছাড়াও পড়ুন:
মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট, কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন
মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ফেসবুকে মাদকবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কলেজছাত্রীর বসতঘরের একাংশ ও মালপত্র পুড়ে গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জ শহরতলির লক্ষ্মণশ্রী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালীর একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন দেওয়ার আগের দিন মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীর ঘরের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেয় একই গ্রামের মেহেদী হাসান নামের এক যুবক। এরপর প্রতিবাদ জানিয়ে সহায়তা চাইতে ফেসবুকে একটি গ্রুপে পোস্ট দেন কলেজছাত্রী। পোস্ট দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই হঠাৎ তারা দেখতে পান, তাদের ঘরে আগুন জ্বলছে। ভুক্তভোগী পরিবারের চিৎকার শুনে গ্রামের বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। তারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ঘরের বাইরের অংশসহ টিন ও মালপত্র পুড়ে যায়।
ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের দাবি, রাতের বেলায় ডিজেল বা পেট্রোল জাতীয় কোনো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাষ্য, গ্রামের মাদকসেবীদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। ফেসবুক গ্রুপ সুনামগঞ্জ হেল্পলাইনে তাদের গ্রামের মাদকসেবীদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাদের নানাভাবে বিরক্ত করছে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে একই
গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান। সে এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে কেউ কথা
বলতে চায় না। ওই কলেজছাত্রী বলেন, তাদের সন্দেহ মেহেদী হাসান তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মেহেদী গতকাল বিকেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘুরেছে ও মানুষকে গালাগাল করেছে। ভয়ে কেউই তাকে কিছু বলতে চায় না।
অভিযোগ ওঠা মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন ফারজানা জান্নাত বলেন, তাঁর ভাই ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন লাগায়নি। আগুন লাগানোর ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে আগুনের ঘটনায় তাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে জানতে পেরেছে ওই কলেজছাত্রীর পরিবার ও মেহেদী হাসানের পরিবারের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আরও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।