অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে এ ডিগ্রি দেওয়া হয়।

ড. ইউনূসের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আরো পড়ুন:

নতুন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টা 

৩ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ বুধবার সকালে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তনে ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েটকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ২২ জন গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিজ হাতে সই করা সনদও পাবেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত আছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

চৌধুরী রফিকুল আবরার ও বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সিনেটে ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৯৪০ পৃষ্ঠার ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিলে করছাড় এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁটের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে এই অধিবেশন চলে। নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) জানায়, বিলটি এক দশকে মার্কিন ঋণ ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে।

সিবিও আরও জানিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০৩৪ সালের মধ্যে আরও ১ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন নাগরিক স্বাস্থ্যবীমার আওতার বাইরে চলে যাবে। তবে রিপাবলিকান নেতারা সিবিওর অনুমান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা আগামী শুক্রবারের (স্বাধীনতা দিবস) মধ্যে এই বিল পাস করাতে চান। সে পর্যন্ত যেতে বিলটিকে আরও কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হবে। দুই কক্ষ বিলের একই সংস্করণে একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সই করতে পারবেন না।

শনিবার রাতে পদ্ধতিগত ভোটে বিলটি পাস করার জন্য তারা প্রায় পর্যাপ্ত সমর্থন পেয়েছিলেন। কিছু রিপাবলিকান বিরোধিতা করেছিলেন। ট্রাম্পের ফোনকল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সফর এই আইনটি এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল।

নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস শনিবার বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, মেডিকেইড-এ (স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সহায়তা) ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে বিলটির পক্ষে ভোট দেননি। তবে পুনঃভোট হলে আর না ভোটে অংশ নেবেন না। কারণ, না ভোটের প্রতিশোধ হিসেবে প্রাইমারিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘দারুণ খবর! সিনেটর থম টিলিস পুনর্নির্বাচনের জন্য লড়বেন না।’

অন্যান্য সিনেট রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রক্ষণশীলদের সঙ্গে আরও বেশি কাটছাঁটের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মনে রাখবেন, আপনাদের আবার নির্বাচিত হতে হবে। খুব বেশি পাগল হয়ে যাবেন না!’

সিনেটররা চাইলে বিলে সংশোধনী আনতে পারেন। বিলটি আইনে পরিণত হলে ফেডারেল কর কমবে, সামরিক ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যয় বাড়বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ