নেত্রকোনায় নিখোঁজ দাদি-নাতনির লাশ নদী থেকে উদ্ধার
Published: 14th, May 2025 GMT
নেত্রকোনার পূর্বধলায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া দাদি ফাতেমা বেগম (৬৫) ও নাতনি লিজা আক্তারের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার পুলিশ উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকার মগড়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, হেঁটে নদী পাড় হতে গিয়ে দুজন পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি শিমুলকান্দি বহেরাকান্দা গ্রামে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফাতেমা বেগম তাঁর নাতনিকে নিয়ে মেয়ে দেলোয়ারা বেগমের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে হেঁটে রওনা হন। নিজ বাড়ি থেকে গন্তব্যস্থলের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তাঁরা গন্তব্যে না পৌঁছানোয় রাত ৯টার দিকে দেলোয়ারা তাঁর ভাই লিটন মিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ ভোরে শিমুলকান্দি এলাকায় মগড়া নদীতে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লিজার সন্ধান না পেয়ে নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে লিজার মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
দাদি-নাতির এক সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। শিমুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নুর মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।
লিজার বাবা লিটন মিয়া বলেন, মনে হয় নদী পাড় হতে গিয়ে পা পিছলে মেয়ে লিজা ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মা ডুবে মারা যান।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নদী পার হওয়ার সময় কোনোভাবে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ম লক ন দ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
বাদল দিনের বন্দনা
‘এমন দিনে তারে বলা যায়/এমন ঘনঘোর বরিষায়।/এমন দিনে মন খোলা যায়–/এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরোঝরে/তপনহীন ঘন তমসায়।।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সাংগঠনিক আলোচনার ফাঁকে চলে বর্ষাবন্দনা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ জুন মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক। সুহৃদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সমকাল সুহৃদ সমাবেশ জবি নতুন কমিটির সবাইকে অভিনন্দন। সুহৃদরা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সৃজনশীলতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজ আরও বেশি বেগবান করবেন– এটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমকাল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি যে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এটি জরুরি। আমরা সব সময় ভালো কাজ ও উদ্যোগের সঙ্গে আছি।’
অনুষ্ঠানে বর্ষার গান, আবৃত্তি ও বাঁশির সুরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল সুহৃদদের। জবি সুহৃদ সভাপতি রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাফা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সুহৃদ বিভাগীয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান, জবি সমকাল প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য শাহীন আলম শাওনসহ অর্ধশত সুহৃদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আত্মোন্নয়ন এবং সৃজনশীলতার জন্য সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় যুক্ততা জরুরি। সাংগঠনিক চর্চার মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ আমাদের নিজেকে আবিষ্কার করতে সহায়তা করে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে।’
সুহৃদ সভাপতি রাকিব বলেন, ‘আমরা সমকাল সুহৃদ জবি পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত মানোন্নয়ন করতে চাই।’ v
সুহৃদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়