আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
Published: 14th, May 2025 GMT
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে সাড়ে ৯ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন, যার ভিত্তি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর রয়েছে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য কেবল উচ্চশিক্ষা প্রদান নয়, বরং একটি দায়িত্বশীল, চিন্তাশীল ও মানবিক প্রজন্ম গড়ে তোলা।’
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এই সমাবর্তন শুধু একটি সনদ গ্রহণের মুহূর্ত নয়, বরং এটি একটি দিকনির্দেশনা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক গোলাম রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অর্জিত ডিগ্রি শুধু একটি সনদ নয়, এটি একটি দায়িত্ব। আপনারা এখন এমন একটি সমাজের অংশ, যেখানে আপনাদের জ্ঞান, মূল্যবোধ ও নেতৃত্ব খুব প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা শুধু দেশের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নেই উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক মো.
সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মেদ মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শারমিন রেজা চৌধুরী।
আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড ট্রাস্টিজ, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) অধ্যাপক মো. শাফিউল আলম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।