লাল গালিচায় পেদ্রোর ঝলমলে উপস্থিতি, পাশে শুভ্রতায় মোড়ানো এমা স্টোন
Published: 17th, May 2025 GMT
শুক্রবার দিবাগত রাতে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠলেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা পেদ্রো প্যাসকাল। আরি অ্যাস্টার পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’ এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে হাজির হয়ে আলো ছড়ান তিনি।
গ্ল্যামারাস এই সন্ধ্যায় প্যাসকাল নজর কাড়েন একটি ক্লাসিক অল-ব্ল্যাক টাক্সেডো, ম্যাচিং জুতা ও কালচার এন্ড গ্রস ব্র্যান্ডের স্টাইলিশ চশমা পরে। লাল গালিচায় হাসিমুখে এমা স্টোনের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় তাঁকে। এ সময় এমা স্টোন পরেছিলেন একটি হোয়াইট কাস্টম লুই ভিটনের গাউন, ঝকঝকে ড্রপ ইয়ারিংস এবং সাহসী ছোট চুলের হেয়ারস্টাইল।
এই ছবির তারকাসমূহের মধ্যে আরও ছিলেন অস্টিন বাটলার, লুক গ্রিমস, ক্লিফটন কলিন্স জুনিয়র, মাইকেল ওয়ার্ড এবং জোকুইন ফিনিক্স। পুরো দলটি যখন গ্র্যান্ড থিয়েট্রে লুমিয়েরের বিখ্যাত লাল গালিচা অতিক্রম করছিলেন, তখন দর্শকদের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে কান উৎসব প্রাঙ্গণ। দর্শকরা স্পষ্টভাবে তাদের প্রিয় পেদ্রো প্যাসকালের নামেই সবচেয়ে বেশি উল্লাসে ফেটে পড়েন।
উৎসবে আসার আগের দিনই প্যাসকালকে দেখা যায় নিস বিমানবন্দরে, যেখানে তিনি পরেছিলেন হেড-টু-টো বোটেগা ভেনেটার আরামদায়ক পোশাক। এই আরামদায়ক ভ্রমণ লুক আর উৎসবের লাল গালিচার ঝলমলে উপস্থিতি-দুইটিই দেখিয়ে দেয় তাঁর ফ্যাশনের বহুমাত্রিকতা।
এডিংটোন সিনেমাটিতে প্যাসকাল অভিনয় করেছেন এক চতুর ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছোট শহরের মেয়রের চরিত্রে, যিনি একটি মহামারির প্রেক্ষাপটে শেরিফ হিসেবে থাকা জোকুইন ফিনিক্সের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন চরম উত্তেজনাকর সংঘাতে। এটি পরিচালকের প্রথম কান অভিষেক হলেও ছবিটি ইতোমধ্যেই পাম দ’অর-এর জন্য শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চলচ্চিত্রটি আগামী ১৮ জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে।
গত ১৩ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দ্য ফেস্টিভ্যালে শুরু হয়েছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক লালগালিচা পর্ব। এই পর্বে বিশ্বের খ্যাতিনামা অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেলরা বাহারি পোশাকে হাঁটেন। এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘আঁ সার্তে রিগা’, ‘আউট অব কম্পিটিশন’, ‘মিডনাইট স্ক্রিনিংস’, ‘কান প্রিমিয়ার’ এবং ‘স্পেশাল স্ক্রিনিংস’-প্রতিটি বিভাগেই দেখা যাবে নানা ঘরানার, নানা দেশের চলচ্চিত্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
পাঠাও নিয়ে এলো ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইন
বাংলাদেশের মানুষের হাত ধরে তৈরি বহুল জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড ‘পাঠাও’ এবার নিয়ে এল ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইন। ১৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে এই উৎসব, যেখানে পাঠাও দিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গিফট জেতার সুযোগসহ অনেক আকর্ষণীয় অফার।
মে মাসজুড়ে পাঠাও ব্যবহারকারীরা রাইড এবং ফুডের ওপর সর্বমোট ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘পাঠাও বাইক’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে), ‘পাঠাও কার’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে) এবং ‘পাঠাও ফুড’-এ পাঁচটি অর্ডারে সর্বমোট এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, প্রতি অর্ডারে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।
এ ছাড়া ‘পাঠাও কার’ ইন্টারসিটি রাইডে রয়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। সঙ্গে থাকছে প্রতিদিন নতুন অফার, সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ডিলসহ আরও অনেক কিছু।
‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনে পাঠাও অ্যাপে প্রতিটি লেনদেনে পাওয়া যাবে ডাবল পাঠাও পয়েন্টস, মানে প্রতিটি অর্ডার বা রাইডেই আপনার পয়েন্ট বাড়বে দ্বিগুণ!
উৎসবের আনন্দ আরও বাড়াতে পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিসেও থাকছে দারুণ অফার। ফ্রি ডেলিভারির পাশাপাশি পাঠাও বাইক, কার ও ফুড-এর কুপন, পার্টনার ব্র্যান্ডদের ডিসকাউন্ট এবং লাকি ইউজারদের জন্য রয়েছে মেগা ভাউচার ও স্পেশাল পুরস্কার।
‘পাঠাও শপ’-এ পেয়ে যাবেন হেডগিয়ার এর মতো দেশীয় পছন্দের ব্র্যান্ড থেকে পাঠাও-এর কোলাবরেশনে দেশি মার্চেন্ডাইজ।
আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে ‘বিগ বক্স’। এতে থাকবে একটি পাবলিক উইশবোর্ড, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের সব ইচ্ছা লিখতে পারবেন। এই উইশবোর্ড থেকে নির্বাচিত ১০ জন ভাগ্যবান ব্যবহারকারীর ইচ্ছা পূরণ করবে ‘পাঠাও’!
দেশি আনন্দকে আরও জমজমাট করতে ‘পাঠাও’ নিয়ে আসছে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ গেম। ‘পাঠাও কার’-এর ফ্ল্যাপে এবং বিগ বক্স-এর পাশে থাকবে একটি কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে মজার মজার প্রশ্ন। সঠিক উত্তর দিলেই পাবেন পয়েন্ট, আর সেই পয়েন্ট দিয়ে থাকবে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের উপহার জেতার সুযোগ।
ক্যাম্পেইনটি প্রসঙ্গে পাঠাও–এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) আবরার হাসনাইন বলেন, দেশি অ্যাপ হিসেবে পাঠাও ১০ বছর ধরে আমাদের দেশের মানুষের প্রয়োজনগুলো মেটানোর চেষ্টা করে আসছে। ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সেলিব্রেট করছি আমাদের দেশি প্রাইড, কালচার আর একসঙ্গে থাকার আনন্দ। যা ফুটে উঠছে আমাদের রাইড শেয়ারিং, ফুড আর প্রোডাক্ট ডেলিভারিসহ প্রতিদিনের ছোট ছোট গল্পগুলোতে।
‘চলো দেশি ভাইব-এ’ হলো দেশীয় প্রাইড আর একসঙ্গে উদ্যাপনের আনন্দ। এই মে মাসে রাইড দিন, খাবার অর্ডার করুন, প্রিয়জনকে পার্সেল পাঠান, আর পাঠাও-এর সঙ্গে চলুন দেশি ভাইবে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘পাঠাও’ এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।