বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, কেউ যেন বিভাজন তৈরি করে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বাধা দিতে না পারে, সে জন্য সব পক্ষকে একটা জায়গায় আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাস যেদিকে গেছে, জামায়াত তার বিপরীত দিকে গেছে। জনগণ যে পক্ষে গেছে, তারা তার বিপক্ষে গেছে। এটা প্রমাণিত। এখন সেই অবস্থানের জন্য যদি তারা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চায়, তাহলে সেটা যদি, কিন্তু ছাড়াই করা দরকার। এখানে যদি, কিন্তু বা কোনো অস্পষ্টতা রাখলে সেটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে বলে মনে করি না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এখন যে বিভাজনের খেলা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, নতুন করে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। এগুলো আবারও শঙ্কার মধ্যে ফেলছে যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতো আবার কোনো ফ্যাসিবাদী ধারা তৈরি হতে যাচ্ছে কি না। একে প্রতিরোধ করার জন্য মনোযোগী হতে হবে।’

১৯৭১ ও ২০২৪–কে পরস্পরের মুখোমুখি করে দাঁড় করানোর যে চেষ্টা বিভিন্ন পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, একে পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেই এখানে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, মানুষের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থান হলো ১৯৭১ সালেরই ধারাবাহিকতা। এই দুইয়ের মাঝে কোনো বিরোধ নেই।

২০২২ সালের ৮ আগস্ট সাতটি দলের সমন্বয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। পরে একটি দল বেরিয়ে এখন ছয়টি দলের সমন্বয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দলগুলো হলো আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ (বর্তমান নাম ভাসানী জনশক্তি পার্টি) ও হাসনাত কাইয়ূমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনগণ র

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৪ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে মেটলাইফ

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সব জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেটলাইফ বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।

গত বছর প্রতিষ্ঠানটি মোট ২ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করে। মেটলাইফের দাবি নিষ্পত্তির হার ৯৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা সর্বোচ্চ হারগুলোর মধ্যে অন্যতম।

নিষ্পত্তি করা বীমা দাবির মধ্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দাবির পরিমাণ ছিল ২৩৭ কোটি টাকা, মৃত্যুজনিত দাবির পরিমাণ ১৪০ কোটি টাকা এবং মেয়াদ পূর্ণ ও আংশিক মেয়াদ পূর্ণসহ অন্যান্য দাবির পরিমাণ ছিল মোট ২ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা।

বিগত ৫ বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২৪ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশ ১১ হাজার ৪০০ কোটিরও বেশি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে। 

মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, মেটলাইফ প্রতিশ্রুতি পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ বীমা দাবির নিষ্পত্তি এরই প্রমাণ। আমাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনে আমরা সবসময় তাদের পাশে রয়েছি, প্রতিটি দাবি পরিশোধই আমাদের সেই অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে : অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
  • আপনারা পথ হারালে খুঁজে পাবেন না, সরকারকে টুকু 
  • ইউরোপের দলের সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশ
  • সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হচ্ছে: তারেক রহমান
  • ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব: তারেক রহমান
  • দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ঢাকা ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে মেটলাইফ
  • ভোট-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: খন্দকার মোশাররফ