রাজশাহীতে এক দিনে ১৫ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত, অধিকাংশ চিকিৎসক
Published: 2nd, June 2025 GMT
রাজশাহীতে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই চিকিৎসক। তারা কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর ল্যাবে করা পরীক্ষায় এই ফল পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৬০ শতাংশ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো.
অধ্যক্ষ আরও বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে ভর্তি হতে না হওয়ায় করোনার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। তবে এটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, ডায়াবেটিসসহ জটিল সমস্যায় ভোগা মানুষদের ব্যাপারে এটা জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক হওয়া দরকার।
বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান রাখা হচ্ছে না উল্লেখ করে অধ্যক্ষ আরও বলেন, অন্তত ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এসে নমুনা দিতে হবে। এ জন্য মাস্ক পরে আসতে হবে। এতে সরকারি ফি ১০০ টাকা। দুপুরের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে একজন করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। অনেকে এমন হতে পারে যে পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে, কিন্তু শরীরের অবস্থা ভালো, তাই মনে করেছেন যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। যে একজন ভর্তি আছেন, তাঁর চিকিৎসা যথাযথ প্রক্রিয়ায় চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ