নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা
Published: 18th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) পুলিশ লাইনস্ ড্রিল শেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট ইনচার্জগণ ও ফোর্স সামষ্টিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয় সেসব সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে দুপুরে মে মাসের বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে “অপরাধ পর্যালোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ওয়ারেন্ট তামিল, অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ মোঃ ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বন্দর থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/মোঃ হুমায়ুন কবির, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এএসআই (নিঃ)/ আব্দুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সোনাগাঁও থানার এসআই (নিঃ)/ নাইমুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই (নিঃ)/ এসএম ইলিয়াস এবং শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মরত এসআই (নিঃ)/অংকুর কুমার ভট্টাচার্য-গনকে পুরস্কৃত করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মহোদয়। এছাড়া জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং জেলার সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অফ স র হ স ব
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলা মনি।
নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন ও এসআই ইলা মনি প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আসামি নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।
ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’
ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সাত বছর আগে (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) মা–বাবা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুনসেই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি নোবেলের, আদালত বললেন কাবিননামা এনেছেন?২০ মে ২০২৫