চট্টগ্রামে ‘ভুল ইনজেকশনে’ কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ, আদালতে মামলা
Published: 24th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা পলাশ কুসুম নন্দী। এতে তিন চিকিৎসককে বিবাদী করা হয়েছে। সোমবার তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূরে খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবাদীরা হলেন- নগরের সার্সন রোডের নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা.
বাদীর আইনজীবী পার্থ প্রতীম নন্দী বলেন, আদালত তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষকে ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ ধরেননি।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম প্রজ্ঞা নন্দী মেঘা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। কয়েক মাস পূর্বে তার মাথা ব্যথা হয়। গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুল আলম খন্দকারকে দেখালে মাইগ্রেন্ট ব্যথা উল্লেখ করে কিছু ওষুধ দেন। পরে ২৫ মার্চ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ পঞ্চানন দাশকে দেখানো হয়। তিনিও মাইগ্রেন্ট রোগের ওষুধ দেন। ২৬ মার্চ ম্যাক্স হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়। ফলাফল নরমাল আসে। ১ জুন কিশোরীর নিজ বাসা নগরের ব্যাটারি গলির সামনে মাথ্যা ব্যথা হলে সে বমি করে। তাকে ২ জুন নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সমৃদ্ধি চৌধুরী ভিকটিম প্রজ্ঞার শারিরিক পরীক্ষা করে জটিল কোনো সমস্যা নেই বলে জানান। শরীর দুর্বল হওয়ায় তাকে একটি স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। পরে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। সেখানে কিছু ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে প্রজ্ঞা। তারপর ধীরে ধীরে শরীর খারাপ হতে থাকে। রোগীর স্বজনরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কল দিতে বললেও তারা তা আমলে নেননি।
তারপর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষকে কল করা হয়। তিনি অনেক সময় পর এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। তেমন কোনো চিকিৎসা দেননি। তারপর রাতে রোগীর হাত, পায়ের নখ কালো হয়ে যায়। এক সময় রোগীর শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। তারপর রোগীকে ওই দিন রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রজ্ঞা মারা গেছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ