স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সব বাহিনীর প্রধানরা আজকে নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। নির্বাচন করতে যত ধরনের সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনকে সেটা আমরা দেবো। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে, এটাই আমাদের আশা।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে। কীভাবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা যায় এবং ভালো থাকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে মোটামুটি সব বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আজকে নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকাটা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে না। যারা নির্বাচনে অংশ নেন তাদের ওপর কিন্তু নির্ভর করে। সেটা আপনারাও তাদের বলবেন।

দিনের ভোট রাতে হয় সে সময়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সে সময় তো আপনারাও মাঠে ছিলেন, কোনো কিছু বলেননি।

সামনের নির্বাচনে রাতে ভোট যাতে না হয় পুলিশ কি সেটা নিশ্চিত করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু পুলিশ না, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পোলিং অফিসার, রির্টানিং অফিসার, প্রিজাইটিং অফিসারদেরও একটা ভূমিকা থাকে। তবে সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, যেহেতু পুরো নির্বাচন নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওপর। দেশের সকল বাহিনী কিন্তু তখন তাদের আন্ডারে কাজ করে। নির্বাচন কমিশন জাতীকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে এটাই আমরা সবাই আশা করি। নির্বাচন করতে যত ধরনের সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনকে সেটা আমরা আমরা দেব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। 

মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ