শিশুদের সংক্রামক ব্যাধি রোধে টিকা কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ
Published: 24th, June 2025 GMT
শিশুদের বিভিন্ন রকম সংক্রামক ব্যাধি রোধে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া টিকা নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসাধারনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি হোটেলে গত ২০-২২ জুন শিশুদের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে টিকাদানবিষয়ক দেশের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাইনোভিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি আয়োজিত ‘এক্সপেন্ডিং প্রটেকশন এগেইনস্ট চাইল্ডহুড ইনফেকশাস ডিজিজেস থ্রু ভ্যাকসিনেশন’ শীর্ষক সম্মেলনে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
তারা জানান, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, আর এই প্রেক্ষাপটে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ও সময়োপযোগী টিকাদান অত্যন্ত জরুরি।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিলিপাইনের ইউনিভার্সিটি অব দ্য ফিলিপিন্স ম্যানিলা ফিলিপাইন জেনারেল হাসপাতালের শিশু সংক্রামক ও ট্রপিক্যাল ডিজিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড.
চট্টগ্রামের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. সৈয়দ মেসবাহুল হক, প্রফেসর ড. ওয়াজির আহমেদ, প্রফেসর ড. চিরঞ্জিব বড়ুয়া এবং প্রফেসর ড. প্রণব কান্তি মল্লিক।
সরকারিভাবে শিশুদের যে সব রোগের টিকা দেওয়া হয় না চিকিৎসকরা সেসব রোগ যেমন নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস-এ এবং মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ প্রতিরোধে টিকাদানের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগের পরামর্শ দেন। এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দুই শতাধিক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল-সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসিজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের ঘাসের মধ্যে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে, কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে রাত এগারোটায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বিস্ফোরণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে জানার চেষ্টা করছি, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা মনে করছি ক্যাম্পাস নিরাপদ। কিন্তু কেউ যদি ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করার চেষ্টা করে, তাহলে এটা কৃত্রিম। আমরা মনে করি ক্যাম্পাসে ককটেল মেরে ডাকসু বন্ধ করা যাবে না। এটা অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর জন্য প্রস্তুত। আর আজই যখন এমন ঘটনা ঘটে, সেটা ডাকসু বন্ধ করার অপতৎপরতারই অংশ।