বেশিরভাগ বাড়িতেই পুরনো খবরের কাগজ জমা হলে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তা না করে এই পুরনো কাগজগুলো অন্যভাবেও কাজে লাগানো যায়। 

যেভাবে কাজে লাগাবেন

জানলা পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই শুকনো কাপড় ব্যবহার করেন। সেই কাপড় আবার পরে পরিষ্কার করে শুকোতে হয়। কিন্তু কাপড়ের বদলে পুরনো খবরের কাগজ ব্যবহার করলে এই ঝামেলা এড়ানো যায়। পাশাপাশি শুকনো কাগজ ব্যবহার করলে জানলার ভিজে ভাবও কাগজ টেনে নেয়। এর ফলে জানালা থাকে ঝকঝকে। শুধু বাড়ির কাচের জানলা নয়, গাড়ির কাচও এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। 

ভিজে ভাব শোষণ করে নেয় খবরের কাগজ। তাই তাকের উপর আচ্ছাদন হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। রান্নাঘরের তাকে খবরের কাগজ দিয়ে তার উপর জিনিসপত্র রাখলে তাক তেলচিটচিটে হয় না। এছাড়া জামাকাপড় বা বই রাখার তাকেও খবরের কাগজ পেতে রাখতে পারেন। তেলচিটচিটে হয়ে গেলে খবরের কাগজ ফেলে দিতে পারবেন সহজেই।

পাউরুটি সেঁকা হয়ে গেলে গ্রিলের উপর পোড়া টুকরো লেগে নোংরা হয়ে যায়। সেগুলো হয়তো পরিষ্কার করার সময় নেই। এমন হলে গ্রিল ঠান্ডা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে খবরের কাগজ দিয়ে পরিষ্কার করুন। একইভাবে বারবিকিউয়ের ক্ষেত্রে খবরের কাগজ দিয়ে পরিষ্কার করা ভালো। চার পাঁচটা কাগজ রেখে তার উপর পানি স্প্রে করুন। তারপর উপরে খবরের কাগজের আস্তরণ দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। পানি টেনে নিলে শুকনো কাপড় দিয়ে গ্রিল পরিষ্কার করুন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ ঘণ্টা পরও খোলা হয়নি শাহ আমানত হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষের তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থীরা তালা দেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর আজ সোমবার দুপুরেও তা খোলা হয়নি। উল্টো আজ শিক্ষার্থীরা প্রধ্যক্ষের কক্ষের নামফলকও সরিয়ে ফেলেন। গতকাল রোববার সকালে আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান আলোচনার প্রস্তাবও দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ ও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া আলোচনায় বসবেন না বলে হল সংসদের নেতারা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক চৌ ধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান হলের গৃহশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে হলে যান। তিনি হল সংসদের প্রাকর্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে আবাসিক শিক্ষার্থী ও হল সংসদের নেতারা সেখানে উপস্থিত হননি।

প্রাধ্যক্ষ দেখা করতে চাইলেও হল সংসদের সদস্যরা তাতে রাজি হননি বলে জানান শাহ আমানত হল সংসদের ভিপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, দাপ্তরিক কাজ যাতে ব্যাহত না হয়—এ জন্য হলের আরেকটি অফিস কক্ষ খোলা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি গৃহশিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে হলে গিয়েছিলাম আলোচনায় বসতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আসেননি। পরে সহউপাচার্যের (একাডেমিক) সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং উপাচার্য চীন সফর শেষে দেশে ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, গতকাল হল সংসদের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। তিনি সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ প্রাধ্যক্ষ এসে জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করতে চান। কিন্তু উপাচার্য ও সহউপাচার্য (প্রশাসনিক) অনুপস্থিত থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। উপাচার্য দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গতকাল আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে হল সংসদের প্রতিনিধিরা প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর কক্ষে তালা দেন। অভিযোগে বলা হয়—হল স্টোরের মালামাল নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়েছে, দরজা-জানালার মেরামত হয়নি, দ্বিতীয় ডাইনিং চালু হয়নি এবং সাইকেল স্ট্যান্ডসহ মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। এসব অভিযোগ তাঁরা সহ–উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। তবে প্রাধ্যক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক কাজই বাজেট ও প্রশাসনিক অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল এবং তিনি নিয়মিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ