অভ্যাসে ঘাটতি, প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত শরীর; সব বাধা যেন হার মানলো মাঠে পা রাখার পর। ফুটবলে এমন ম্যাজিক অনেক সময়ই ঘটে। আর এবার সেই চমক দেখাল চেলসি। ইএস তিউনিসের বিপক্ষে ইনজুরি টাইমে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ে ৩-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্টরা।

খেলার নিয়মিত সময় যখন নিস্তরঙ্গ, তখনই হাজির হয় নাটক। প্রথমার্ধের যোগ সময়ের তৃতীয় মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের ফ্রি কিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ডিফেন্ডার টসিম আদারাবিও।

এর ঠিক দুই মিনিট পর আবারো আলো ছড়ান এনজো। তার দুর্দান্ত লব বল ধরে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে চমৎকার ফিনিশিং করেন তরুণ ফরোয়ার্ড লিয়াম ডেলাপ। ম্যাচের শেষাংশে আরও একবার চমকে দেন টাইরিক জর্জ। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের সপ্তম মিনিটে দূর থেকে নেওয়া তার দুর্দান্ত শটে হতবাক তিউনিসের গোলরক্ষক।

আরো পড়ুন:

বেনফিকার বিস্ময়, বায়ার্নকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা

শেষ ষোলোয় মেসিদের সামনে পুরনো ঠিকানার বড় চ্যালেঞ্জ

সব মিলিয়ে, তিন গোল, তিন গল্প, আর চেলসির জয় নিশ্চিত; সবই লেখা মাত্র কয়েক মিনিটে! এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে নকআউটে উঠেছে চেলসি। এখন তাদের সামনে  পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়ন বেনফিকা। যারা ‘সি’ গ্রুপে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে প্রথম হয়েছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ