পরিবেশবান্ধব উৎপাদন কার্যক্রম ও টেকসই শিল্প ব্যবস্থাপনার প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে প্রসাধনী খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অর্জন করেছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মালিক মোহাম্মদ সাঈদ।

এই স্বীকৃতি শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং এটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কয়ারের দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। শুরু থেকেই স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড তাদের কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও মানবিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে। নারী কর্মীদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার, মাতৃত্বকালীন ছুটি, নিরাপদ যাতায়াত এবং নেতৃত্ব বিকাশের সমান ও পর্যাপ্ত সুযোগ। সবার জন্য রয়েছে গ্রুপ বিমা, স্বাস্থ্যসেবা, খাবারের সুব্যবস্থা, ফেয়ার প্রাইস শপ, শিক্ষাবৃত্তি এবং আরও অনেক সহায়ক ব্যবস্থা।

পরিবেশের প্রতি অঙ্গীকার থেকে স্কয়ার টয়লেট্রিজ নিয়েছে বেশ কিছু টেকসই উদ্যোগ। ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো, সৌরশক্তির ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও দূষণমুক্ত উৎপাদন তার মধ্যে অন্যতম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ