সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে ব্যবহার করার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এ মন্তব্য করেন। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

সভায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠান কি বলতে পারবে, সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে?

প্রেস সচিব বলেন, প্রায় ৬০০ সাংবাদিক সচিবালয়ে প্রবেশের এক্সেস পেয়েছেন । তিনি বলেন, ‘তাঁরা যাচ্ছেন, রিপোর্ট করছেন, আমরা তেমন কোনো কমপ্লেইন পাচ্ছি না। তবে এই কাজটা স্লো হয়ে গেছে। সবাইকে খুব দ্রুত অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া উচিত।’

সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। সেই পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কার্ড দেওয়া হবে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘কমিটির কিছু পরামর্শ ছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করলে আমার মনে হয়, এই অবস্থা আরও ভালো জায়গায় যাবে।’

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষক পারভেজ করিম আব্বাসী, ফ্যাক্টচেকার ও দ্য ডিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

২০১৪, ২০১৮২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন ক‌রে‌ছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন), জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে সাজানো প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে এসব নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশের আইনের শাসন গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার বিপণ্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দেশে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ফ্যাসিবাদ এবং কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এ লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ