চালকদের নিয়োগপত্র, ডোপটেস্টের প্রস্তাব
Published: 26th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর উদ্যোগে জেলার সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ, বিশেষ পোশাক পরিধান, নিয়মিত ডোপটেস্ট, কল্যাণ ফান্ড গঠন, সড়ক মেরামত এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা মনিটরিং কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো.
মামুন মাহমুদ বলেন, "অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে মাদকাসক্ত চালক। তাই চালকদের নিয়মিত ডোপটেস্ট প্রয়োজন। এছাড়া দুইটি মহাসড়ক ঘেঁষা এই জেলায় দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেশি। মহাসড়কের পাশে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করলে অনেক প্রাণ রক্ষা সম্ভব।"
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, "আমরা পরিবর্তন চাই না বলেই ঝামেলা এড়াতে চাই। অথচ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনতেই হবে। সমাজ ও পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও বদলাতে হবে।
তাই চালকদের নিয়োগপত্র, প্রশিক্ষণ, পোশাক, ডোপটেস্ট ও মনিটরিং ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।"
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ চ লক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভোটার তালিকা সংশোধন এনআরসি থেকেও ভয়ংকর, সতর্কবার্তা মমতার
নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার সংশোধন হতে পারে এনআরসির পরিকল্পনা কিংবা এনআরসির থেকেও ভয়ংকর- এমন মন্তব্য করে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়েছে। অবৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি 'ডিক্লারেশন ফর্ম'। জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও। যার বেশ কিছু নিয়মাবলি নিয়ে আপত্তি তুলে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার দাবি, কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকা বিহার ভোটের আগে প্রকাশ করা হলেও এর আসল উদ্দেশ্য বাংলার বিধানসভা ভোট। ২০২৬ সালে বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটকে নিশানা করেই এই নির্দেশিকা পালন করা হয়েছে। এমনকি, নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন প্রজন্মকে, গ্রামের মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এটা এনআরসির পরিকল্পনা হতে পারে। এনআরসির চেয়েও ভয়ংকর। মানুষকে বলব সতর্ক হন। শেষ দিন পর্যন্ত দেখুন আপনার নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না। এই নির্দেশিকাতে আরও অনেক দুর্নীতি আছে।’
তিনি বলেন,‘ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?’
তার দাবি, নির্বাচন কমিশন তাকে ২টি চিঠি পাঠিয়েছে। তা প্রাথমিকভাবে দেখতে গিয়ে ১৮ ও ১৯ পাতার নির্দেশিকায় তার চোখে পড়েছে যে ওই ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণের সময় বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেটও দিতে হবে। তা কোথা থেকে পাবেন সবাই? এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।’
উল্লেখ্য, অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে ২২ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভিনদেশী নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিতেই কমিশনের এই পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে। নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে দাখিল করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন।