‎‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর উদ্যোগে জেলার সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‎‎সভায় পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ, বিশেষ পোশাক পরিধান, নিয়মিত ডোপটেস্ট, কল্যাণ ফান্ড গঠন, সড়ক মেরামত এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা মনিটরিং কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

‎‎জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো.

নূর কুতুবুল আলম, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক মহানগর জামায়াত আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ইসলামী আন্দোলনের নগর সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) শওকত আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলম, পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ।

‎মামুন মাহমুদ বলেন, "অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে মাদকাসক্ত চালক। তাই চালকদের নিয়মিত ডোপটেস্ট প্রয়োজন। এছাড়া দুইটি মহাসড়ক ঘেঁষা এই জেলায় দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেশি। মহাসড়কের পাশে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করলে অনেক প্রাণ রক্ষা সম্ভব।"

‎‎সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, "আমরা পরিবর্তন চাই না বলেই ঝামেলা এড়াতে চাই। অথচ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনতেই হবে। সমাজ ও পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও বদলাতে হবে।

তাই চালকদের নিয়োগপত্র, প্রশিক্ষণ, পোশাক, ডোপটেস্ট ও মনিটরিং ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।"

 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ চ লক

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ ঘণ্টা পরও খোলা হয়নি শাহ আমানত হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষের তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থীরা তালা দেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর আজ সোমবার দুপুরেও তা খোলা হয়নি। উল্টো আজ শিক্ষার্থীরা প্রধ্যক্ষের কক্ষের নামফলকও সরিয়ে ফেলেন। গতকাল রোববার সকালে আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান আলোচনার প্রস্তাবও দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ ও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া আলোচনায় বসবেন না বলে হল সংসদের নেতারা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক চৌ ধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান হলের গৃহশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে হলে যান। তিনি হল সংসদের প্রাকর্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে আবাসিক শিক্ষার্থী ও হল সংসদের নেতারা সেখানে উপস্থিত হননি।

প্রাধ্যক্ষ দেখা করতে চাইলেও হল সংসদের সদস্যরা তাতে রাজি হননি বলে জানান শাহ আমানত হল সংসদের ভিপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, দাপ্তরিক কাজ যাতে ব্যাহত না হয়—এ জন্য হলের আরেকটি অফিস কক্ষ খোলা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি গৃহশিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে হলে গিয়েছিলাম আলোচনায় বসতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আসেননি। পরে সহউপাচার্যের (একাডেমিক) সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং উপাচার্য চীন সফর শেষে দেশে ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, গতকাল হল সংসদের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। তিনি সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ প্রাধ্যক্ষ এসে জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করতে চান। কিন্তু উপাচার্য ও সহউপাচার্য (প্রশাসনিক) অনুপস্থিত থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। উপাচার্য দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গতকাল আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে হল সংসদের প্রতিনিধিরা প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর কক্ষে তালা দেন। অভিযোগে বলা হয়—হল স্টোরের মালামাল নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়েছে, দরজা-জানালার মেরামত হয়নি, দ্বিতীয় ডাইনিং চালু হয়নি এবং সাইকেল স্ট্যান্ডসহ মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। এসব অভিযোগ তাঁরা সহ–উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। তবে প্রাধ্যক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক কাজই বাজেট ও প্রশাসনিক অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল এবং তিনি নিয়মিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ