কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর রহমান কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন। 

শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাফিজুর রহামন। এ সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী বাস হাফিজুরকে চাপা দেয়। দ্রুত হাফিজুরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর পাবনার চাট‌মোহর উপ‌জেলার জাগর‌কোল গ্রা‌মের আহম্মদ আলীর ছে‌লে। 

এদিকে, সকাল ৮টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় স্যালোইঞ্জিনচালিত ট্রলির ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিক রবিউল ইসলাম নিহত হয়েছেন। রবিউল একই উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের বাবুল ইসলামের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ 

নারায়ণগঞ্জে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ 

কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইও‌য়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, থানার সাম‌নে কু‌ষ্টিয়া-‌ঝিনাইদহ মহাসড়‌কে দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছিলেন কন‌স্টেবল হা‌ফিজুর। এ সময় কু‌ষ্টিয়ার দিক ‌থে‌কে আসা ইসলামী ‌বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসটি ট্রাক‌‌কে ওভার‌টেক কর‌তে গে‌লে রাস্তার পা‌শে থাকা পু‌লিশ কন‌স্টেবল হা‌ফিজুরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থ‌লে তার মৃত‌্যু হয়।

বাস‌টি জব্দ ক‌রে থানায় নেয়া হ‌য়ে‌ছে। চালক ও সহ‌যোগী পলাতক র‌য়ে‌ছে। লাশ প‌রিবা‌রের কাছ হস্তান্তর করা হ‌য়েছে। এ বিষ‌য়ে আইনানুগ ব‌্যবস্থা গ্রহ‌ণের প্রস্তু‌তি চল‌ছে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত স ট বল হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।

তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ