প্রয়াত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে ভালোবেসে নায়কের সবচেয়ে সুপারহিট সিনেমা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ নামে কয়েক বছর আগে একটি শুটিং স্পট নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। নিয়মিত সেখানে নাটক-সিনেমার শুটিং হয়। সালমান শাহ ভক্ত-প্রযোজক রাশেদকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই প্রযোজক ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রাশেদ নিজেই।

তিনি বলেন, “২০১৮ সালে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করি। সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় এই অপরহণ করা হয়। মামলা তুলে নিতে দীর্ঘদিন চাপ সৃষ্টি করে আসছিল এই চক্রটি। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় শুক্রবার দুপুরে পূর্বাচল ১৩ নম্বর সেক্টরের অফিস থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর আমার পরিবারের কাছে ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।”

রাশেদের ভাষ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলের কথিত যুবদল নেতা রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক দুপুর আড়াইটার দিকে অফিসে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। রাসেল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে আমার চাচাতো ভাই রাকিবের মেয়ে সূর্বনাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত চক্রটি। 

জানা যায়, অপহরণের খবর পেয়ে রাশেদের পরিবার দ্রুত পূর্বাচল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ জানায়। এতে অপহরণকারীরা চাপে পড়ে যায় এবং রাশেদকে ‘আওয়ামী লীগ কর্মী’ পরিচয়ে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা রাসেল মিয়াসহ চক্রের ছয় সদস্য— রাসেল, শান্ত, রনি, শিপলু সাব্বির ও রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন, “তাকে (রাশেদুল ইসলাম রাশেদ) আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তার সে রকম কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রমাণ আমরা পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

রাশেদ ‘নিশ্চুপ ভালোবাসা’ নামে সিনেমা প্রযোজনা করেছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু নাটক, সিনেমা এবং মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এ ঘটনায় চলচ্চিত্রপাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক অপহরণ, তিনজন আটক

বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পাহাড়ে একটি পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল বুধবার রাতে মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকার ‘প্যারাডাইস অবকাশযাপনকেন্দ্রে’ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ওই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আবদুল খালেককে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি স্থানে আটকে রাখেন এবং তাঁর পরিবারের কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

পরে গভীর রাতে কৌশলে পালিয়ে আসেন আবদুল খালেক। তিনি ফিরে এসে পরিচিত কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাগানপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালান। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন লামার বাগানপাড়ার মনিন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে তানিয়াল ত্রিপুরা (৩৬), থানচির বড়মদক এলাকার মেথিয় ত্রিপুরার ছেলে হালিরাম ত্রিপুরা (৩১) ও রুমার বগালেক এলাকার নুথিয় ত্রিপুরার ছেলে রহিম ত্রিপুরা (৩৮)।

লামা পর্যটন মালিক সমিতির সদস্যসচিব মো. সাদেকুর মাওলা ইরাক বলেন, পাড়াবাসী ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের ধরা সম্ভব হয়েছে। অপহৃত ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এখনো সঠিক পরিচয় দিচ্ছেন না। তাঁদের নামে আগেরও মামলা থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে মামলার সাক্ষীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬
  • রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ, ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি : আটক ৬
  • পবিপ্রবির এক অধ্যাপককে ‘সহযোগী অধ্যাপক’ হিসেবে পদাবনতি
  • সন্তান ফিরে পেতে এক মায়ের লড়াই
  • অপহৃত ছাত্র নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
  • কৃষি ক্যাডারের তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  • চাকরি দেওয়ার কথা বলে টেকনাফে এনে এক তরুণকে অপহরণ, দাবি করা হয় মুক্তিপণ
  • বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করল সরকার
  • বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক অপহরণ, তিনজন আটক