রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ, ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি : আটক ৬
Published: 28th, June 2025 GMT
রূপগঞ্জে পূর্বাচল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে রাশেদুল ইসলাম (৪৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের পর ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছে ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বাদী পক্ষের ওপর মামলা তুলে নিতে দীর্ঘদিন চাপ সৃষ্টি করে আসছিল একটি চক্র। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় শুক্রবার ২৭ জুন দুপুরে পূর্বাচল ১৩ নম্বর সেক্টরে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, পূর্বাচলের কথিত যুবদল নেতা রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক দুপুর আড়াইটার দিকে মো.
অভিযুক্ত রাসেল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদের চাচাতো ভাই রাকিবের মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলাটিই এখন তুলে নেওয়ার জন্য তাদের উপর দীর্ঘদিন ধরেই হুমকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত চক্র।
অপহরণের খবর পেয়ে মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদের পরিবার দ্রুত পূর্বাচল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ জানায়। এতে অপহরণকারীরা চাপে পড়ে যায় এবং মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে ‘আওয়ামী লীগ কর্মী’ পরিচয়ে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
রূপগঞ্জ থানা ওসি তরিকুল ইসলাম জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা রাসেল মিয়াসহ চক্রের ছয় সদস্য- রাসেল, শান্ত, রনি, শিপলু সাব্বির ও রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহৃত রাশেদকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন, তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তার সে রকম কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রমাণ আমরা পাইনি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ অপহরণ অপর ধ র শ দ ল ইসল ম র শ দ র পগঞ জ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে