সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘থ্রি জিরো পলিসি’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
Published: 1st, July 2025 GMT
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ বিজনেস, সিএসসিএ, এসবিআইএফ এবং এসইইউডিসি-এর যৌথ আয়োজনে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী ‘থ্রি জিরো পলিসি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন। প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আশরাফুল হাসান। তিনি তার বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের গঠনের পেছনের অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক উন্নয়নে এর অবদানের কথা তুলে ধরেন।
অধিবেশনটি সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সম্মেলনে বিশ্বের ছয়টি দেশের নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, শিল্প বিশেষজ্ঞ ও যুব নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি তার বক্তব্যে নবায়নযোগ্য শক্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রুফটপ সোলার প্যানেল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আগামী প্রজন্মকে উদ্যোক্তা ও পরিবেশবান্ধব নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতামূলক মনোভাবের ওপর গুরুত্ব দেন।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী।
বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা, উদ্ভাবনী সমাধান এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স উথইস ট ইউন ভ র স ট স উথইস ট ইউন ভ র স ট ইউন ভ র স ট র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।