সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটকরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার দহিতলা গ্রামের বদিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তফা হোসেন (২৪), মনিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া গ্রামের অধীর কুমার মন্ডলের ছেলে কাসমীর মন্ডল (৪০), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের আব্দুল হাকিম (৩৯), একই গ্রামের আখের আলী গাজী (৪৩) ও ফরিদপুর সদর উপজেলার গোয়ালচামট গ্রামের বাবুল মন্ডলের ছেলে চন্দন মন্ডল (২২)।

আরো পড়ুন:

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নারী আটক

সুনামগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

বিজিবি জানায়, আটককৃতরা মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা ও শ্রীনাথপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। পরে তারা বিজিবির হাতে আটক হন। আটককৃতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

এছাড়া, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন নিমতলা ও গয়েশপুর বিওপির পৃথক অভিযানে মোট ১০১ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ হয়।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‍“আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। মামলা শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনা মানসিক হাসপাতালের ৯ দালালের কারাদণ্ড

পাবনা মানসিক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৯ দালালকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটককৃতদের এক মাসের কারাদণ্ড দেন পাবনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে জেলা প্রশাসন ও এনএসআই-এর সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে মুকাররম হোসেন (৫০), মুনসুর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪২), ইসলামপুর গ্রামের মৃত জামাল শেখের ছেলে হালিম শেখ (৪০), আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (২৪), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত সামাদ শেখের শফিকুল শেখ (৫৫), শহিদ আলীর ছেলে ছাবিত আলী (১৯), মুনজির হোসেনের ছেলে মুন্নাফ হোসেন (৩১), বুদেরহাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (৩০) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত ইসরাইল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)।

আরো পড়ুন:

শেরপুরের হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

ডাক্তারকে রোগীর থাপ্পড়

পুলিশ জানায়, দালালের কাছে প্রায় জিম্মি ছিল মানসিক হাসপাতাল। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা দালালদের খপ্পরে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এনএসআই-এর এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ৯ দালালকে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। সদর এসিল্যান্ড ও এনএসআইয়ের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাজাপ্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনা মানসিক হাসপাতালের ৯ দালালের কারাদণ্ড