‘কিল বিল’খ্যাত হলিউডের তারকা অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের মালিবুর বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটি এ খবর প্রকাশ করেছে।
মাইকেল ম্যাডসেনের বোন ভার্জিনিয়া ভ্যারাইটিকে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, “আমার ভাই মাইকেল মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছেন। সে ছিল বজ্র এবং মখমলের মতো। দুষ্টুমি কোমলতায় মোড়ানো। একজন কবি, একজন বাবা, একজন ছেলে, একজন ভাই।”
বিবৃতির শেষাংশে ভার্জিনিয়া বলেন, “আমি তার জোকস, হাসির শব্দ মিস করব। আমি সেই ছেলেটিকে মিস করব যে কিংবদন্তি ছিল, আমি আমার বড় ভাইকে মিস করব।”
আরো পড়ুন:
একই দিনে ঢাকায় ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ ও ‘২৮ ইয়ারস লেটার’
‘স্পাইডার-ম্যান’ তারকা জ্যাক মারা গেছেন
১৯৫৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন মাইকেল ম্যাডসেন। তার বাবা ছিলেন একজন ফায়ার ফাইটার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তার মা ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক। তার বোন ভার্জিনিয়া ম্যাডসেনও একজন অভিনেত্রী।
মঞ্চনাটকের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন মাইকেল ম্যাডসেন। ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার গেম’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় পা রাখেন। এ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার পরের বছরই দুটো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মাইকেল ম্যাডসেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত থ্রিলার ঘরানার ‘রিজার্ভার ডগস’ সিনেমায় সাইকোপ্যাথ খুনি মিস্টার ব্লন্ড চরিত্রে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন। ‘কিল বিল’ সিনেমায় খলনায়কের ছোট ভাই বাড চরিত্র রূপায়ন করে দর্শক মনে এখনো গেঁথে আছেন মাইকেল।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’, ‘দ্য ন্যাচারাল’, ‘দ্য ডোরস’, বন্ড সিরিজের ‘ডাই অ্যানাদার ডে’, ‘সিন সিটি’, ‘ব্যাটম্যান: ডাইয়িং ইজ ইজি’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জব
রংপুর ও গাইবান্ধা অঞ্চলে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব। গবাদিপশুর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ও শঙ্কা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই আছে কিনা এমন কোনো ধারণাও রাখেন না তারা। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মাংস ক্রেতারা জানান, আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের। তবে, তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
আরো পড়ুন:
হাত-পায়ের ব্যথা কমাতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন
টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। জবাই করার আগে প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে। এই দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হচ্ছে না। পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে সংক্রামকজনিত রোগবালাই।
মাংসের ক্রেতা সদর উপজেলার আবদুস সালাম বলেন, “পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় লোকজন মারা যাওয়া পশুর মাংস, নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।”
নলছিটি উপজেলার এইচ এম সিজার বলেন, “রংপুর ও গাইবান্ধায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত প্রাণী বা তাদের দেহবস্তুর সংস্পর্শে এলেই ছড়ায় যা মানুষকে সংক্রমিত করে। আমাদের এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাংস বিক্রেতারা পশু জবাই করেন। পশুটি সুস্থ আছে কিনা সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। যেখানে পশু জবাই হয় সেখানে কখনো কোনো পশু চিকিৎসককে দেখিনি।”
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ৫ আগস্টের আগে নিয়মিত পশু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতো। এখন আর তা করা হয় না, প্রশাসনের কেউ থাকেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নীরোদ বরণ জয়ধর বলেন, “আমি নতুন যোগদান করেছি। কেন পশু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না বিষয়টি জেনে বলতে পারব। অসুস্থ পশু জবাই হলে তা থেকে মানব শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে।”
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক জায়গায় খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এরপর থেকে যাতে তদারকি করেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টিতে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ