লক্ষ্মীপুরে প্রতারণা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. মোজতবা আলী ওরফে এম আলীর ছয় মাসের সাজা হয়েছে অনেক আগে। সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীল ভাটারা এলাকা থেকে গ্রাহকরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। 

আজ রোববার ভাটারা থানা পুলিশ তাকে ঢাকার আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান সমকালকে বলেন, মোজতবা আলীর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ মামলায় তিনি ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রাহকরা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনের সড়কে মোজতবা আলীকে আটক করে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন তারা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। লক্ষ্মীপুর থানার মামলার রেফারেন্সে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়।

ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর থানার পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাবে বলে জানান ওসি।

জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শ’ কোটি পাওনা টাকা আটকে রাখার অভিযোগ আছে ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলেও তা পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করেনি ধামাকা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোজতবাসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন প্রতারিত গ্রাহকরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র লক ষ ম প র ম জতব

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি পানির লাইনে পোকা, শামুক, দুর্গন্ধ

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যাত্রা সাত বছর আগে শুরু হলেও এখনো সুপেয় পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকেরা। প্রায় দেড় লাখ নিম্নআয়ের মানুষের চাহিদা থাকলেও সংযোগ আছে মাত্র সাত হাজার পরিবারের। বিকল্প উপায়ে বাসিন্দারা সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানি তুলছেন, যা ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ বলেন, ‘পৌরসভা থাকার সময় যে সব পানির গ্রাহক ছিলেন, এখনো তাঁরাই আছেন। পানির সংযোগ ও পাম্পহাউসগুলো পৌরসভার সময়ের পুরোনো। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জনগণ বেড়েছে, কিন্তু পানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়েনি। আমাদের রাজস্ব আয় খুব সামান্য, সরকার থেকে বিশেষ প্রকল্প দেওয়া না হলে বড় কোনো প্রকল্প নেওয়ার সক্ষমতা নেই।’

টাকায় কেনা দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি

নগরের বাসিন্দাদের প্রতি মাসে পানি সংযোগের জন্য ১৫০ টাকা বিল দিতে হয়। এর সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্সে যোগ হয় পানির রেইট খাতে মোট বিলের ৩ শতাংশ চার্জ। তবু সরকারি লাইনে আসে দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। এই পানি ব্যবহারে শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

ময়মনসিংহ নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে প্রায় তিন হাজার নিম্নআয়ের পরিবারের বসবাস। সেখানে আছে সিটি করপোরেশনের পানির সংযোগ। প্রতিদিন সকাল ৭টা, দুপুর ১২টা ও বিকেল ৪টায় লাইনে পানি আসে। পানি পেতে বাসিন্দারা আগেভাগেই বালতি-বোল পেতে রাখেন। ময়লা পানি আসায় পাইপ ও কলের মুখে কাপড় বা টিস্যু ব্যাগ বেঁধে রাখেন, যাতে কিছুটা ছেঁকে নেওয়া যায়।

ময়না বেগম নামের এক বাসিন্দা বলেন, পানিতে পোকা ও শামুক পর্যন্ত আসে। এ থেকে ভয়ানক দুর্গন্ধ বের হয়। এই পানি ব্যবহার করলে শরীরে চুলকানি হয়।
আম্বিয়া খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেড় শ টাকা বিল দিই, আবার পচা পানি পাই—এইডা আমরা চাই না। আমরা ভালা পানি চাই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে সিটি করপোরেশন বিষয়টিকে একেবারে অবহেলা করছে। দূষিত পানি ঘরে ঘরে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হোক।’

তুলনামূলক পরিষ্কার পানি পেতে পাইপের মুখে কাপড় বাঁধছেন এক নারী। সম্প্রতি নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানি চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত
  • ৩ দিন বিদ্যুৎহীন মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • তেল চুরি শুরু জাহাজ থেকে
  • ২০০ বছর পর বন্ধ হচ্ছে ‘বেকার অ্যান্ড টেইলর’
  • পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি এখন ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে: রাজনাথ সিংয়ের হুমকি
  • রাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প
  • হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি
  • সরকারি পানির লাইনে পোকা, শামুক, দুর্গন্ধ
  • হোয়াইট হাউজ থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি
  • দ্রুত বিদ্যুৎ-গ্যাস দিন, চালু করুন